কোচবিহারে আগামী ৪ এপ্রিল সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই দিনে একই জেলায় সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফলে, ৪ এপ্রিল কোচবিহারে সামনাসামনি টক্কর মোদী-মমতার। দুই শিবিরের দুই প্রধানের সভা ঘিরে সাজসাজ রব রাজার শহরে। জানা গিয়েছে, মোদীর সভা হবে শহরের রাসমেলা ময়দানে। মমতা সভা করবেন মাথাভাঙার গুমানির হাটে।
মাথার আঘাত পাওয়ার পর রবিবার প্রথম লোকসভার ভোটের প্রচারে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের পর আগামী ৩ এপ্রিল উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর তারপর দিন অর্থাৎ ৪ এপ্রিল তাঁর কোচবিহারের মাথাভাঙায় জনসভা করার কথা রয়েছে। আর ওইদিনই কোচবিহারে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। তাই চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে যে ভোট প্রচারের পারদ তুঙ্গে থাকবে তা বলাই বাহুল্য!
প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রবিবার সকালে রাসমেলার মাঠ পরিদর্শন করেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়, বিজেপির রাজ্য পরিদর্শক মঙ্গল পাণ্ডে, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। অন্য দিকে, সভার প্রস্তুতি চূড়ান্ত লগ্নে তৃণমূল শিবিরেরও। ২ এপ্রিল কোচবিহারে আসছেন অভিষেক। তার পর ৪ এপ্রিল দলনেত্রীর সভা। মাথাভাঙার গুমানি হাটে সভা মমতা আগেও একাধিক বার সভা করেছেন। এই মাঠ তাঁর বহু দিনের চেনা। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে সাজসাজ রব। মাঠ সাজানোর কাজও চলছে জোরকদমে। সভা সফল করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অঞ্চলে প্রস্তুতি সভা করছেন স্থানীয় নেতারা।
লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। ভোট ঘোষণার আগেই আরামবাগ, কৃষ্ণনগর ও বারাসত ও শিলিগুড়ি রাজ্যে চারটি সভা করেছেন মোদী। এবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর ফের উত্তরবঙ্গে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু কোচবিহার নয়, ৭ মার্চ মোদীর জোড়া সভা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। ওইদিন বালুরঘাট এবং জলপাইগুড়িতে সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।