মদন মিত্র এবং বিতর্ক কার্যতই সমর্থক হয়ে উঠেছে বর্তমানে। সে রাজনীতির ময়দানই হোক বা ব্যক্তিগত জীবন। তাঁর ‘ওহ লাভলি’ হোক বা ফেসবুক লাইভ, সবকিছু নিয়েই জনপ্রিয়তাও দেখবার মতন। কিন্তু, অতি সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে লাস্যময়ী মহিলাদের সঙ্গে তৃনমূলের ‘কালারফুল বয়ের’ কিছু ছবি। সেই ছবিগুলিতে মদনের বাহুডোরে দেখা যাচ্ছে ওই মহিলাদের। কোনো ছবিতে আবার জামার বোতাম খুলেই হুক্কা হাতে মহিলাদের সঙ্গে পোজ দিচ্ছেন তিনি।আর সেসব ছবি ভাইরাল হতেই দলের নির্দেশে স্যোশাল মিডিয়া ছাড়ছেন মদন।
ভাইরাল হওয়া ছবির এই দুই তরুণীর মধ্যে একজন অন্বেষা ঘোষ। তিনি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মদন মিত্র-র সঙ্গে তাঁর এবং অন্য এক তরুণীর ঘনিষ্ট ছবি শেয়ার করেছেন (Madan Mitra with Two Young Ladies has caught in viral images)। অন্বেষা আবার মৌমিতা মণ্ডল নামে এক তরুণীর সঙ্গে এই পোস্ট শেয়ারও করেছেন। ছবির ক্যাপশনে ‘ও লাভলি’ লিখে মদন মিত্র-কে লাভ সাইন এবং হাসির ইমোজি দিয়ে ট্যাগও করেছেন। কবে এই ছবি তোলা হয়েছে, কোথায় তোলা হয়েছে তা জানা যায়নি। কারণ ওই তরুণী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লক করে রেখেছেন। সূত্রে খবর অন্বেষা যে মৌমিতা মণ্ডল নামে তরুণীর সঙ্গে এই পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি আসলে এই ছবির দ্বিতীয় তরুণী। কোনটা অন্বেষা বা কোনটাই মৌমিতা? সূত্রের খবর অন্বেষা হলেন লাল টাইট ফুল স্লিভ এবং ব্ল্যাক ট্রাউজার পরা তরুণী।
কে এই অন্বেষা? এর সঙ্গে মদন মিত্রের সম্পর্ক-ই বা কি? সূত্রের খবর অন্বেষার আদি বাড়ি সোদপুর-বেলঘরিয়া অঞ্চলে। মডেলিং করেন। গ্ল্যামার দুনিয়ার রয়েছে যোগাযোগ। সেই সঙ্গে মদন মিত্রের সঙ্গেও রয়েছে ঘনিষ্ট সম্পর্ক। দুই তরুণীর সঙ্গে অন্বেষা এবং অন্য এক তরুণীর ছবি-তে কমেন্টের বন্যা। কেউ লিখছেন ও লাভলি, আবার কেউ লিখছেন আরও নানা আদি-রসাক্ত মন্তব্য।
আরও পড়ুন: ভাঙা ফিসপ্লেট! সাত সকালেই অল্পের জন্য রক্ষা পেল দত্তপুকুর লোকাল
পুরো ব্যাপারটি নিয়েই অবশ্য বেশ খানিক জলঘোলা হয় তৃণমূলের অন্দরে। এবার সেই সমস্ত বিতর্কে ধামাচাপা দিতেই দলের নির্দেশে স্যোশাল মিডিয়া ছাড়ছেন মদন। আগামী ৩০ জুন অবধি ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এদিন নিজেই একথা জানালেন কামারহাটির কালারফুল বয়। দলের নির্দেশেই যে এহেন সিদ্ধান্ত এমনটাও বলতে শোনা যায় তাঁকে।
এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মদন, বেশি স্যোশাল মিডিয়া করলে তোমার ফেসবুকের গ্ল্যামার নষ্ট হয়ে যাবে। তুমি ফেসবুক ছেড়ে দাও’। এর পর দলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসই আমার কাছে সব। দলের জন্যই আমার ফেসবুক, ইনস্টা লোকে দেখে। মদন মিত্র বলেও দেখে না, এমএল বলেও দেখে না। তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ কর্মীর মতো আমার কথা শোনে। মদন মিত্র এখন আর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম করবে না। তবে কোনও প্রোগ্রাম, আন্দোলন, তৃণমূলের কোনও প্রচার হলে, আমার ডিজিটাল টিম প্রচার করবে। এর বাইরে সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় দেখা যাবে না।’ দল যেমনটি নির্দেশ দেবে তেমনটিই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফোনেও চলত অডিও-ভিভিয়ো সেক্স , জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার ২২