শুধু কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করা হলেই মিলবে উত্তর। বড়জোর জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে, ‘‘আপনি কেমন আছেন?’’ তার বাইরে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সংবাদমাধ্যমে তিনি কোনও জবাব দেবেন না। দলীয় নির্দেশ মেনে এই সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে আগামী কিছু দিন মুখ খুলবেন না তিনি। তার জন্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘আপনারা আমায় ভুল বুঝবেন না।’’
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? রবিবার রাতের এক অনুষ্ঠানে মদন মিত্র বলেন, ‘দলের নামে শপথ করছি কোনও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কেমন আছেন, ভালো আছেন এইসব প্রশ্নের বাইরে আলাদা করে কোনও বাইট দেব না। দেব না মানে দেব না। কথা মানে কথাই। যা বলার তা ইনস্টা, ফেসবুকেই বলব। সাংবাদিক বন্ধুদের বলব আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনাদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অটুট রইল। শুধু আমার কাছে মাইক নিয়ে কিছু বলতে বলবেন না। যদি বলেন কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে মদন মিত্র নামটা এমন একটা নাম যে আমার প্রচারের কোনও প্রয়োজন নেই।’
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ফের শুভেন্দুর কনভয়ে ট্রাকের ধাক্কা, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
এখানেই থেমে থাকেননি কামারহাটির বিধায়ক। মদন মিত্র বলেন, প্রথমেই আসি মদন মিত্র ও অনুব্রত মণ্ডলের কথা। এদের বিরুদ্ধে কী হবে, কী হবে না তা বিচার ব্যবস্থাই বলবে। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে এটুকু বলব, এদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে আমার সম্পর্ক ও ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার কোনও মন্তব্যে এদের আঘাত করার মানসিকতা ছিল না। কিন্তু একটি বিবৃতিকে কেন্দ্রে করে এমনভাবে কিছু কথা বেরিয়েছে যাতে বোঝা যাচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে আমি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় কিংবা অনুব্রতকে বা আমার পার্টিকে বিড়ম্ববনায় ফেলে আঘাত করার চেষ্টা করেছি। সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের বলব, কিছুদিন অন্তত আপনারা আমাকে আপনাদের সংবাদমাধ্যমের বাইরে থাকতে দিন। আমি যেসব প্রোগ্রাম করি সেইসব প্রোগ্রামে আপনারা আসবেন, কভার করবেন। সংবাদমাধ্যমে মন্তব্যের জন্য দল যদি অস্বস্তি ও বিপাকে পড়ে তাহলে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
শিক্ষক নিয়ে দুর্নীতি ও গোরুপাচার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও অনুব্রত মণ্ডল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দল সেভাবে সরব না হলেও অনুব্রত নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর দলের পক্ষ থেকেই বেশ কিছু তীর্যক মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। সম্ভবত সেই জায়গা থেকেই দল এনিয়ে কোনও কড়া অবস্থান নিয়েছে। তারই প্রতিফলন দেখা গেল মদনের গলায়।
আরও পড়ুন: Saugata Roy: বিরোধীদের জুতোপেটা করার হুমকি, দিলীপ- সুকান্তকে ‘বাঁদর’ বলে আক্রমণ সৌগত রায়ের