এ বার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের দফতরে হানা দিল সিবিআই। স্থানীয় সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরের সিদ্ধেশ্বরীতলায় যেখানে মহুয়ার সাংসদ কার্যালয় রয়েছে, সেখানে গিয়েছেন সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল। বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১০ জন জওয়ান। তল্লাশি চলছে গোটা বাড়িতে।
যদিও মহুয়া বেশিরভাগ সময়ে করিমপুরে থাকেন। কৃষ্ণনগরের ওই বাড়িতে খুব একটা থাকেন না তিনি। ২০১৯ সালে নির্বাচনের সময় সিদ্ধেশ্বরী তলার এই বাড়ি থেকে কাজ করেছিলেন মহুয়া। সেখানেই তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। এরপর সিবিআই আধিকারিকেরা করিমপুরের বাড়িতে যাবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
কৃষ্ণনগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জনি মোদক নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাংসদ কার্যালয় তৈরি করেন মহুয়া। সাংসদ হওয়ার পর সেখান থেকেই প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। শনিবার সিবিআই আধিকারিকেরা যখন ওই বাড়িতে যান, তখন বাড়ির মালিক জনিই দরজা খুলে দেন। কৃষ্ণনগরে মহুয়ার সাংসদ কার্যালয়ে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সৌগতকৃষ্ণ দেব বলেন, “ভোটের আগে বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্যই বিজেপি এ সব করাচ্ছে। কিন্তু এই সব করে মহুয়া মৈত্রকে রোখা যাবে না।”
এদিন সকালেই কলকাতার আলিপুরে ‘রত্নাবলী’ নামে একটি আবাসনে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ওই আবাসনের নয় তলাতেই থাকেন মহুয়ার বাবা দীপেন্দ্রলাল মৈত্র। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে সকাল থেকে সেখানেও চলছে তল্লাশি অভিযান। এরপর বেলা গড়াতে কৃষ্ণনগরে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা।