দশমীর রাতে বিসর্জনের বিপর্যয়ের পর প্রায় গোটা দিন পেরিয়ে গেলেও চলছে উদ্ধারকাজ। তবে নতুন করে কোনও দেহ মেলেনি। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩ জন আহত।
জলপাইগুড়ির মালবাজারে হড়পা বানে বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবার ও আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই পরিমাণ আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও।
আরও পড়ুন: কেমন থাকবে পুজোর দিনগুলির আবহাওয়া ? কী পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস ?
শুক্রবার সব জেলায় পুজো কার্নিভাল হওয়ার কথা। তার আয়োজনে জেলায় জেলায় তৎপরতা এখন তুঙ্গে। জলপাইগুড়িতেও একই ভাবে কার্নিভালের ব্যবস্থা করা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু বুধবার রাতের ঘটনায় সব বদলে গিয়েছে। বহু মানুষ সমাজমাধ্যমে কার্নিভাল বন্ধের আর্জি জানান। সেই তালিকায় লেখক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক, নাট্যকার, কবি থেকে শুরু করে পরিবেশ ও সমাজকর্মীরা রয়েছেন। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল জেলা প্রশাসন। বৈঠকের পর জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘মানুষ যখন চাইছেন না, তখন এই রকম একটা অনুষ্ঠান করার কোনও মানে হয় না। পুজো কার্নিভাল বাতিল করা হয়েছে।’’
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, নদীর গতিপথ বদলানো হয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে নদীর মাঝামাঝি এলাকায় যেতে হয়েছিল দর্শনার্থীদের। আচমকা জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলেই এমন বিপর্যয়। বিসর্জনের সময় ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন: Hooghly: দুর্গা প্রতিমার হাতে তৃণমূলের পতাকা! গুড়াপ থানায় অভিযোগ দায়ের বিজেপি-র