জোটেনি অ্যাম্বুল্যান্স। সেই খাটিয়া করেই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন মালদহের বামনগোলার মৃত তরুণীর মা। শেষরক্ষা হয়নি। রাস্তাতেই প্রাণ হারান তিনি। প্রায় সতেরো বছর পর আবারও ফিরল পুরনো স্মৃতি। মায়ের মতোই খাটিয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল তরুণী মামণি রায়েরও।
আজ থেকে প্রায় সতেরো বছর আগের কথা। মামণি রায় তখন মাত্র আড়াই বছর বয়সি। সেই সময় তাঁর মা অরুণা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের দাবি, জোটেনি অ্যাম্বুল্যান্স। বাধ্য হয়ে খাটিয়া করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শেষরক্ষা হয়নি। পথেই প্রাণ হারান অরুণা। মাতৃহারা হন ছোট্ট মামণি। বাবা ফুলেন রায়কে বেশ কয়েক বছর আগেই হারিয়েছিলেন তরুণী। তাঁর পরিবারের দাবি, বাবার দেহ বাড়িতে আনার সময় অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে দেহ নিয়ে আসতে হয় খাটিয়ায়।
গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের মালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মামনি রায় (২৫)। স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে সংসার ছিল তাঁর। সম্প্রতি জ্বর হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মামনিকে মোদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। কিন্তু বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। মামনির স্বামীর অভিযোগ, অনেক চেষ্টা করেও অ্যাম্বুল্যান্স বা টোটো মেলেনি। অগত্যা মামনিকে খাটিয়ায় শুইয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী। কিন্তু পথেই মারা যান মামনি। বেহাল রাস্তার কারণেই অ্যাম্বুল্যান্স বা টোটো আস্তে রাজি হয়নি বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই একদিকে যেমন ওঠে নিন্দার ঝড় তেমনই ক্ষুব্ধ হন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভে সামিল হন। ঘটনাস্থলে আসেন বামনগোলার বিডিও রাজু কুন্ডু। তিনি রাস্তা সারানোর লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তবে অবরোধ ওঠে।