লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্ব শেষ হতেই ধ্যানমগ্ন হতে চলেছেন মোদী। ২০১৯ সালে কেদারনাথে গিয়েছিলেন এবং ২০১৪ সালে গিয়েছিলেন প্রতাপগড়ে। এবারও, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গন্তব্য কন্যাকুমারী। যেখানে তিনি ৩০ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত থাকবেন। সেখানেই বিবেকানন্দ রকে ধ্যানমগ্ন হবেন মোদী। ১ জুন বিকেল সাড়ে তিনটেয় কন্যাকুমারী থেকে ফিরবেন মোদী। এদিকে মোদীর এই ধ্যানকে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বারুইপুরের এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি আর থাকবেন না মোদিবাবু। আপনার মেয়াদ ৪ তারিখ পর্যন্ত। বরং আপনি গিয়ে ধ্যান করুন। ধ্যান করলে কেউ ক্যামেরা নিয়ে ধ্যান করে?” মমতার (Mamata Banerjee) অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর এই ধ্যানের ব্যাপারটা পুরোটাই দেখনদারি। তিনি বলছেন, “প্রত্যেকবার যেদিন শেষ নির্বাচন তার আগে কোথাও না কোথাও ঢুকে বসে থাকে। আর দেখায় ধ্যান করছেন। পুরো জায়গাটা এয়ার কন্ডিশন বানিয়ে নেয়।”
মমতার আক্ষেপ, তিনি নিজেও ভেবেছিলেন কন্যাকুমারী যাবেন। কিন্তু সেই জায়গাটাও আরএসএস দখল করে নিল। তাই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। তৃণমূল নেত্রী বলছেন, “আমার খুব দুঃখ হয়, কেন সবাই চুপচাপ থাকে। কেন কেউ প্রতিবাদ করে না। আমার খুব দুঃখ হয় ওই জায়গাটা ঋষি অরবিন্দ তৈরি করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের খুব প্রিয় জায়গা ছিল। আরএসএস (RSS) ওটা দখল করে নিল।” এর পর সরাসরি মোদিকে কটাক্ষ, “উনি নাকি ঈশ্বরের দূত। তাই যদি হয়, লোকে ওনার ধ্যান করবে। ওনার তো ধ্যান করার প্রয়োজন নেই।”
মমতা আরও বলেন, ‘‘মানুষ কী ক্যামেরাকে সামনে রেখে পুজো করেন? উনি সমুদ্রের হাওয়া খেতে খেতে প্রচার চালাবেন। নির্বাচনের পরে এ ভাবে প্রচার করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানাব। মোদী ধ্যান করতেই পারেন, কিন্তু সংবাদমাধ্যম তা দেখাতে পারে না। কারণ তা নির্বাচনী বিধিকে ভঙ্গ করে।
এদিকে মোদীর এই কর্মসূচী ঘিরে পর্যটকদের সপ্তাহান্তে তাঁদের পরিকল্পনা বাতিল করতে বলা হয়েছে । আশেপাশে দোকান-পাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কোস্টগার্ডের টহল ছাড়াও উপকূল রক্ষী জাহাজের সঙ্গে প্রায় ১ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে মোদীর নিরাপত্তায়। ১০ জন এসপিজি কমান্ডোদের একটি দল নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার কন্যাকুমারী পৌঁছেছে।