MAMATA BANERJEE, AMIT MITRA SLAMS NIRMALA SITARAMAN OVER UNION BUDGET

Union Budget 2022 : ‘পেগাসাস স্পিন বাজেট’, কটাক্ষ মমতার, ‘মিথ্যার স্বপ্নফেরি’ – বললেন অমিত মিত্র

নির্মলা সীতারমনের বাজেটকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সংসদে বাজেট পেশের কিছুক্ষণের মধ্যেই টুইট করেন তিনি ৷ বলেন, ‘‘‘বাজেট থেকে সাধারণ মানুষের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য ৷ সরকার কথা রাখতে ব্যর্থ ৷ মুদ্রাস্ফিতি ও বেকারত্ব রোধে এই বাজেটে কোনও সংস্থান নেই ৷ ’’ এই বাজেটকে ‘পেগাসাস স্পিন বাজেট’ বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা (Mamata On Union Budget 2022) ৷

আরও পড়ুন: North Bengal Ghost: অমাবস্যার রাতে ভূত ধরতে রেল লাইনে স্বয়ং পুলিশ! দেখা মিলল কি তেনার?

পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তথা রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘‘এই অতিমারিকালে ইংল্যান্ড বা জার্মানির মতো দেশ মানুষের হাতে টাকা দিচ্ছে, যাতে বাজারে চাহিদা বাড়ে । ব্রিটিশ সরকার অতিমারিকালে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের আগেকার প্রাপ্ত বেতনের 80 শতাংশ দিচ্ছে । জার্মানিতে ভাড়া বাড়িতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ভাড়া মকুব করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার । ভারতবর্ষে অতিমারিকালে ১.২ কোটি চাকুরীজীবী মানুষ তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন । অথচ তাঁদের জন্য বাজেটে কিছুই বলা নেই । তাই এই বাজেট দিশাহীন এবং মিথ্যার স্বপ্নফেরিতে ভরা।’’

অমিত মিত্র বলেছেন, “গ্রামীণ ভারতের ঘরগুলিতে ১৭ শতাংশ মানুষের ঘরে ট্যাপ ওয়াটার যায়। উনারা বলছেন জল দেব, জল দেব। কিন্তু পরিসংখ্য়ান কোথায়? সবার ঘরে জল দেওয়ার জন্য তো বরাদ্দও চাই। রাজ্য যে কেন্দ্রের স্পনসর্ড স্কিম পায় তাতে কোনও পরিমাণ বাড়ানো হয়নি। কোনও নতুন স্কিম নেই। বাজেটে কোনও সামাজিক সুরক্ষার স্কিম নেই। বয়স্ক মানুষদের জন্য কোনও স্কিম বাজেটে নেই। কোভিডে মৃতদের জন্য কোনও স্কিম নেই। গ্রামের মানুষদের জন্য খেতমজুর থেকে আয় বা স্কিমের সম্পর্কে কোনও ঘোষণা নেই। বেতনভুক্ত মধ্যবিত্তদের মধ্যে ২.১ কোটি চাকরি হারিয়েছেন। বেতনভুক্ত মধ্যবিত্তদের জন্য়ও কোনও স্কিমের ঘোষণা নেই।”

MGNREGA নিয়ে তিনি বলেছেন, “এইবারের বাজেটে ১০০ দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৭৩,০০০ কোটি। কিন্তু গত বছর এই বরাদ্দ ছিল ৯৮,০০০ কোটি। কেউ সেটা খেয়াল করেননি। চুপচাপ করে এই বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে লোকে বুঝতে না পারে। অর্থাৎ, ৩ কোটি বেকারদের মধ্যে যেখানে কেউ কেউ গ্রামে ১০০ দিনের কাজ করতে পারত সেখানেও বাজেট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাজেট বক্তৃতায় এর কোনও উল্লেখ নেই। বাজেটের নথিপত্র ঘেটে তা বের করতে হচ্ছে আমাদের। ” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মহিলা, যুব, প্রান্তিক মানুষ, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত- কারোর জন্যই এই বাজেটে কোনও ঘোষণা নেই। এই বাজেট কার জন্য? একেবারে অন্তঃসারশূণ্য, চিন্তাহীন বাজেট এটি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী একদম ঠিক কথাই বলেছেন, এই বাজেটের কোনও তাৎপর্য নেই।

হিরের আমদানি শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণার পরই  বাজেটকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনও৷ ট্যুইটাে তিনি লেখেন, ‘এই সরকারের সবথেকে বড় বন্ধু হিরে৷ আর বাকি যাঁরা পড়ে থাকেন, সেই কৃষক, মধ্যবিত্ত, বেকার, দৈনিক উপার্জনকারীদের জন্য এই প্রধানমন্ত্রী কিছু ভাবার প্রয়োজন বোধ করেন না৷’

আরও পড়ুন: লরির সঙ্গে মদন মিত্রের বাইকের ধাক্কা, বিটি রোডে দুর্ঘটনার কবলে বিধায়ক