Mamata Banerjee at Ajmer Sharif in Rajasthan today

Mamata Banerjee: আজমেঢ় শরিফে চাদর চড়ালেন মমতা, রাজস্থানের মাটিতেও দিদি-দিদি ডাক

মঙ্গলবার দুপুরে রাজস্থানের আজমেঢ়ে মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় চাদর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee in Ajmerh Darga)।

রাজস্থানে এই অঞ্চলে এখন হাল্কা শীত পড়ে গেছে। দুপুরে মিঠে রোদের আমেজও রয়েছে। দিদি যখন পৌঁছেছেন তখন রোজকারের মতই দরগার উঠোনে বসে একদল কাওয়ালি গাইছেন সুফি সুরে। দরগায় ঢোকার মুখেই সারি সারি গোলাপ ও ফুলের দোকান। সেখান থেকে আগেই গোলাপের পাপড়ি আনা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সুদৃশ্য নকশা করা চাদর। চাদর দিয়ে মাথা ঢেকে সেই চাদর এদিন খওয়াজা সাহেবের দরগায় চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

গোলাপি চেলি পরিয়ে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। ফুল ও চাদর হাতে দরগায় প্রবেশ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। চারদিক থেকে শুধু দিদি দিদি রব। রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলার দিদির জন্য যে বাঁধ ভাঙা আবেগ তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। আর এদিন আজমেঢ় শরিফে চাদর চড়িয়ে কার্যত স্বপ্নপূরণ করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আজমেঢ়ে মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখান থেকে পুস্করের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আরও পড়ুন: BJP: কেড়ে নেওয়া হল বঙ্গ–বিজেপির সব ক্ষমতা, রাশ এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে

কৌতূহল হতে পারে হঠাৎ কেন আজমেঢ়-পুষ্কর সফরে গেলেন দিদি। মুথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন আজমেঢ়-পুষ্কর রেলপথের জন্য অনুমোদন দিয়েছিলেন। রেল মন্ত্রকের অফিসারদের কেউ কেউ বলেছিলেন, এভাবে আজমেঢ়ের জন্য রেললাইন পাতা কি সাম্প্রদায়িক ব্যাপার হয়ে যাবে না? জবাবে তিনি বলেছিলেন, পুষ্করও তো রয়েছে। এই রেলপথ তো সম্প্রীতির কথা বলবে। মমতার কথায়, “তার পর থেকে আজমেঢ় শরিফের থেকে বহুবার তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি যেতে পারেননি। এবার দিল্লি সফরের মধ্যে সময় করে তিনি তাই চলে এলেন।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে তৃণমূল। একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই ঘাসফুল শিবির নিজেদের সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে। বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একছাতার তলায় আনার চেষ্টা। আর সেই নিরিখে রাজস্থানে মমতাকে ঘিরে আবেগ যথেষ্ট ভালো ইঙ্গিত তৃণমূলের কাছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার বাইরে নিজের জনপ্রিয়তাটাও যাচাই করে নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর সর্বোপরি দরগায় চাদর চড়িয়ে অনেকেরই মনও জয় করলেন তিনি।

আরও পড়ুন: Minimum wage: বাড়ির পরিচারিকার মাইনে এবার ঠিক করে দেবে মমতার সরকার