Mamata banerjee at violence hit bogtui village, still sticks to larger conspiracy theory

Rampurhat Clash: মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই কান্নার রোল, বগটুইয়ে দাঁড়িয়ে মমতা অনড় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে

অনুব্রত মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়েই বগটুই গ্রামে পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামপুরহাট থেকে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতেই বগটুই গ্রামে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন নিহতদের পরিবারের একজন।

বুধবার গ্রামে এসেছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এসেছিল শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়ক দল। তখনও গ্রাম প্রায় শূন্য ছিল। তবে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে পৌঁছনোর আগে থাকতেই ঘর হারানো, ঘরের মানুষ হারানো মহিলা, পুরুষদের অনেকে বগটুই ফেরেন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সেই মানুষগুলোর চোখে ছিল জল। সঙ্গে ভয়ও। কেউ কেউ টানা কেঁদেই চলছিলেন টানা। গ্রামের মানুষের সেই সব হারানো কষ্টকেই যেন ছুঁতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বললেন। আর তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘আপনাদের ঘরের লোক মারা গিয়েছে, আমার হৃদয় মারা গিয়েছে।’’ একই সঙ্গে সায় দিলেন গো‌টা ঘটনার পর থেকেই গ্রামবাসীদের পক্ষে তোলা পুলিশের একাংশের গাফিলতির অভিযোগে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বগটুইয়ে দাঁড়িয়েই মমতা পুলিশকে নির্দেশ দেন, গ্রামে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। পাড়ার লোকেরা পাড়াতেই থাকবেন। প্রথম থেকেই আক্রান্তদের অভিযোগ ছিল তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের দিকে। দ্রুত তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন মমতা। সেই সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দেন, ‘‘আত্মসমর্পণ না করলে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। যেখান থেকেই হোক। এমন করে মামলা তৈরি করতে হবে যাতে দোষীরা ছাড় না পায়।’’ একই সঙ্গে বলেন, ‘‘এমন সাজা হোক যাতে অন্য কোথাও কেউ এই ধরনের অপরাধ না করে।’’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ঘটনার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র আছে বলেও মনে করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি এখনও বলছি এটার পিছনে বড় ঘটনা আছে। একজনকে খুন করা, তারপর বাড়িতে আগুন লাগল। শুধু স্থানীয়স্তরে ঘটানো হয়েছে নাকি বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এসেছিল। সব দিকটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’ খুনের ঘটনার পর পুলিশ সক্রিয় হলে এমন ঘটনা ঘটত না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেদিন খুনের ঘটনার পর কোনও পুলিশ পিকেটিং গ্রামে বসানো হয়নি। পুলিশের কর্তারা বিষয়টা জানা সত্বেও অবহেলা করেছে। তাই তাঁদের সরানো হয়েছে।’

গতকালই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বগটুইর ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। ইঙ্গিতটা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলির দিকে। এমনকী সম্প্রতি বিজেপি থেকে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদারও বলেছেন, ‘আর একটা নন্দীগ্রাম হলেই বিজেপির কেল্লা ফতে।’ তাতে বিরোধীদের লাভ হবে বলেই তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের মুখপাত্ররাও একযোগে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আউড়ে গিয়েছেন। এদিনও সেই তত্ত্ব ফের শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়।