লোকসভা ভোটের আগে জেলা ধরে ধরে সাংগঠনিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলার সব সাংসদ, বিধায়ক ও সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন তিনি। সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকেই রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের সবকটায় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের বৈঠকের পর সংবাদিকদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “মুর্শিদাবাদে আমরা শক্তিশালী। তিনটি আসনেই লড়ব আমরা”।মুর্শিদাবাদের তিনটি আসনের মধ্যে অন্যতম হল বহরমপুর। সেখানে বর্তমান সাংসদ হলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। তিনটি আসনেই লড়ার কথা বলা মানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করা। তাই এদিন হুমায়ুনের কথার পরই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি জোট হবে না?
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন তৃণমূল নেত্রী? স্পষ্ট না করে তিনি বরং দায় ঠেলে রাখলেন কংগ্রেসের দিকেই। এদিন তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম বড় শরিক তৃণমূল। তাদের বাদ দিয়ে এ রাজ্যে অন্য কাউকে কংগ্রেস বেশি প্রাধান্য দিলে, তৃণমূল নিজের মতোই ভাববে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যে এ বারও ৪২ আসনেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী। একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) গুরুত্ব দিতে নারাজ মমতা। নাম না করে ‘কোনও ফ্যাক্টর নয়’ বলে মন্তব্য তাঁর।
উল্লেখ্য, INDIA জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক বাংলার শাসকদল। গোড়া থেকেই তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামত গুরুত্ব পেয়েছে। জোটের প্রত্যেক বৈঠকেই নানা প্রস্তাব রেখেছেন তিনি। সেইমতো পরবর্তী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। বাংলায় লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া তৃণমূলের গুরুত্বও বুঝিয়ে দিয়েছেন বারবার। আর তার পর থেকে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট জটিলতা বেড়়েছে। মমতার ওয়ান বাই ওয়ান ফর্মুলা অনুযায়ী, বাংলায় সবচেয়ে শক্তিশালী তৃণমূল, তাই তাদেরই গুরুত্ব দিতে হবে। এদিকে কংগ্রেসের তরফে আরও বেশি আসন চাওয়া হয়েছে। ফলে জোট সমীকরণ চূড়ান্ত হওয়া দূর অস্ত, একাই লড়তে প্রস্তুত তৃণমূল।