যাদের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়েছে তাদের রাজ্য বিকল্প কার্ড দেবে। এই কার্ড দিয়েই সবরকম সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কয়েকদিনে রাজ্যের নানা প্রান্তে বেশ কিছু মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ডাকযোগে ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে চিঠি পেয়েছেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম, আবুজহাটি এলাকায় প্রায় ৬০ জনের কাছে চিঠি আসার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। হুগলির কোদালিয়া ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রবীন্দ্রনগর সুকান্তনগর কৃষ্ণপুর এলাকাতেও অনেকের কাছেই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়েছে বলে চিঠি এসেছে। মোগরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকান্ত পল্লী, মাঠপাড়া, ভেরিকুটি, নতুন গ্রাম, জয়পুর, পাম্প কলোনি এলাকার প্রায় সত্তর জনের কাছে চিঠি এসেছে। এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় হুগলিতেও। আধার বাতিল হলে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। গ্যাসের সংযোগ, ব্যাঙ্কের লেনদেন, সমস্যা হবে সবেতেই। এ সব ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা।
গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের তরফে বাংলার মানুষের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পিছনে বিজেপির চক্রান্তের কথা বলা হয়েছে। সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানিয়েছিলেন সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করবে নবান্ন। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তাঁর ঘোষণা, মঙ্গলবার থেকেই রাজ্য একটি পোর্টাল চালু করছে। সেই পোর্টালে গিয়ে যাঁদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁদের আধার বাতিল হয়েছে তাঁদের আলাদা কার্ড দেবে রাজ্য। ব্যাঙ্ক বা অন্য কাজে কারও সমস্যা হবে না।’’
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আধার কার্ড নিয়ে তফসিলি ফেডারেশন আমার কাছে চিঠি দিয়েছে। বিভিন্ন তফসিলি জাতি, নমঃশূদ্র মানুষের, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। আমাদের জানায়নি পর্যন্ত। যাঁর কাটা হয়েছে অন্তত তাঁকে তো জানাবে। তাও জানায়নি। ষড়যন্ত্র করে রাজ্যের মানুষকে বিপদে ফেলছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু বাংলার মানুষের ক্ষতি করার ক্ষমতা কারও নেই।”
তিনি ঘোষণা করেন, মঙ্গলবার থেকেই রাজ্য একটি পোর্টাল চালু করছে। যাঁদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে এই পোর্টালে গিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন।