পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) বৃদ্ধির ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পার্কস্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে খ্রিস্টমাস উৎসবের সূচনার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকদের চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ছে।
মমতার কথায়, “এর আগে আমরা ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলাম। তার পর পে কমিশন হয়েছে। চার রকমের পে স্কেল রয়েছে এখন। নতুন পে স্কেলে ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যে দেওয়া হচ্ছে। আজ বড়দিনের বিকেলে ঘোষণা করছি যে ৪ শতাংশ হারে আরও এক কিস্তি ডিএ ১ জানুয়ারি থেকে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারী, অধিনস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী মিলিয়ে ১৪ লক্ষ কর্মচারী এর সুবিধা পাবেন।”
এত দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। বৃহস্পতিবারের ঘোষণার পর থেকে তাঁরা পাবেন ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা । ডিএ বৃদ্ধি করায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতার ফারাক কমে হল ৩৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৪৬ শতাংশ ডিএ পান। মমতা ঘোষণার সময়ে এ বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য ফারাক বুঝিয়েছেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে ডিএ বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে তা নয়। রাজ্যে ডিএ ঐচ্ছিক।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে সরকারের ২,৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে উপকৃত হবেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী। সরকারি কর্মীদের জন্য এই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধিকে বড়দিন এবং নতুন বছরের ‘উপহার’ বলে তুলে ধরেছেন মমতা।
তবে সরকারের এই ঘোষণায় খুশি হতে পারেননি ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনরত কর্মচারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ডিএ-তে কেন্দ্র-রাজ্য ব্যবধান ৪০ শতাশ। ৪ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। একে ‘ভিক্ষা’ হিসাবে দেখছেন আন্দোলনকারীরা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে বলি, এককের ঘরের শূন্যটা কোথায় গেল? শূন্যটাকে বাম দিকে না বসিয়ে চার এর ডান দিকে বসান। আমরা কিন্তু ভিক্ষা চাইছি না।’’