Mamata Banerjee expresses deep concern over impact of Cyclone Remal

Mamata Banerjee: রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজ্য, বিধি মেনে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ছ’জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কারও মাথায় গাছ পড়ে, তো কারও মাথায় বাড়ির কার্নিস ভেঙে, কেউ আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও প্রচুর। রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার কথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের তরফে আর্থিক সহায়তা মৃতদের পরিবারের কাছে পৌঁছে যাবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে। প্রতি বছরই তাই আমাদের নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এ বারও সাইক্লোন ‘রেমালে’র প্রভাবে আমাদের রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হল এবং হচ্ছে। কিন্তু সবার উপরে মানুষের জীবন। সৌভাগ্যক্রমে এবং অবশ্যই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় এবার জীবনহানি তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।’’

তার পরেই মমতা লেখেন, ‘‘নিহতদের পরিবারবর্গকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই, তাঁদের নিকটজনের হাতে অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা পৌঁছবে। ফসলের ও বাড়িঘরের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণের বণ্টনও আইন-মোতাবেক প্রশাসন এখনই দেখে নেবে।’’ তিনি এ-ও জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে গেলে সরকার এই সব বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে পুরোটা বিবেচনা করবে।

বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি মমতা। তিনি জানান, নির্বাচনী বন্দোবস্তের ব্যস্ততা সত্ত্বেও সর্ব স্তরে আমাদের প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলে সংহত ভাবে সব সময় মানুষের পাশে থেকেছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। দুর্যোগে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, মুখ্যসচিবের কাছ থেকে এদিন সকালে সে সংক্রান্ত রিপোর্ট নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় মোট ১৪০০ শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে মোট ২ লক্ষ বাসিন্দাকে নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।