পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ডাকা দলীয় সভায় আগামী দু’মাসের বিশেষ কর্মসূচির ঘোষণা করল তৃণমূল (Mamata Banerjee)। যে কর্মসূচির লক্ষ্য জনসংযোগ নয় বরং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘মা মাটি মানুষের জীবনের সঙ্গী হওয়া’। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের ডাকা সভার মঞ্চ থেকে ওই কর্মসূচিকে তৃণমূলের ‘কর্মযজ্ঞ’ বলে ঘোষণা করে অভিষেক জানালেন, এটি বাংলার ১০ কোটি মানুষের জন্য ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’। যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে ‘দিদির দূত’।
কর্মসূচি উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই সম্পর্কে জানালেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”দুয়ারে সরকারের আইডিয়ার আরেকটা রূপ এই কর্মসূচি। সরকার যে কাজ করছে, করুক। পাশাপাশি পার্টির কাছেও কিছু অভিযোগ আসে। তা এলে কাজ করতে হবে দলীয় স্তরে। অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকে। কিন্তু মানবিক কারণে তা এড়িয়ে সমাধানের কাজটা আগে করতে হবে।”
দলের নেতাদেরও কাজ সম্পর্কে ফের সচেতন করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ”নেতাদের দুর্নীতিতে নজরদারি রাখতে হয়। কে ঠিক করে কাজ করে, সেটা দেখতে হয়। কৈফিয়ত তো পঞ্চায়েতকে নয়, আমাকে দিতে হবে মানুষের কাছে। একটা পোকা ধানে জন্মায়। সেটাকে বিনাশ না করলে আগেই নষ্ট করতে হবে। নাহলে সমূলে বিনাশ প্রত্যেকের নিজস্ব কাজ আছে। এখন তো সরাসরি টাকা হাতে পায় সবাই। সেটাকে কন্ট্রোল করার জন্য নজরে রাখতে হয়। আমিও কিন্তু দলের উর্ধ্বে নই, মানুষের উর্ধ্বে নই। রোজ আমার রুটিন মেনে চলি।”
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে জনমানসের কাছাকাছি পৌঁছতেও নতুন কর্মসূচির প্রণয়ন করেছিল তৃণমূল। ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্প সেই সময় ভালই সাড়া ফেলেছিল। এরপরে আসে বিধানসভা ভোটের আগে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’৷ এই দুই প্রকল্পই সফল হয়েছিল। এবার তৃণমূলের লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট।
এর মধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতিকে ইস্যু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তার উপরে কয়ালা পাচার, গরুকাণ্ড তো রয়েছেই। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এবং দিদির অত্যন্ত অনুগত অনুব্রত মণ্ডল। এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির চালু হওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: Vande Bharat Express: হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতে ভাড়া কত? মিলবে কোন কোন খাবার?