৫ ফেব্রুয়ারি, আগামী সোমবার রাজ্য বিধানসভায় শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি। ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হতে পারে বাজেট। এরপর আগামী ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ে আলোচনা হবে বিধানসভায়।
লোকসভা ভোটের আগে কেমন হতে চলেছে রাজ্য বাজেট, সে দিকে নজর অনেকেরই। তার আগে শুক্রবার বিধানসভায় ছিল সর্বদলীয় বৈঠক এবং কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠক। দুই বৈঠকই এড়িয়ে গিয়েছেন বিজেপির বিধায়কেরা। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাউসে বিরোধীদের থাকা উচিত। বিরোধী ছাড়া রাজনীতি হয় না। এ ভাবে দু’টি বৈঠক উপেক্ষা করা যুক্তিযুক্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে শুক্রবার দু’টি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন আইএসএফ (ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
কর কাঠামোয় না মিলেছে ছাড় । না ঘোষণা হয়েছে কোনও নতুন প্রকল্পের, কেন্দ্রীয় বাজেটে আশাহত হয়েছে মধ্যবিত্ত। উন্নয়নমূলক প্রকল্পেও হয়েছে ব্যয় সংকোচন। কাটছাঁট করা হয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও। দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ বাজেটকে অন্তঃসারশূন্য বলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার ধর্না মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে আক্রমণও করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, “বাজেটে গরিবদের জন্য একটা কথাও বলেনি। ফুড সাবসিডি কমিয়ে দিয়েছে। চাষিদের জন্যও কিছু নেই। আমরা তো মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আগেই সংরক্ষণ করে রেখেছি।
এরপর মমতার আরও সংযোজন, ‘ওরা নাকি সব করবে ২৫ বছর পরে। তাহলে ২০২৪-এর বাজেট করল কেন? সব কিছু কেন ২৫ বছর, ৫০ বছর পরে? এখন কি লোকে আঙুল চুষবে?’