২ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছে নেতাজি ইন্ডোর স্টিডেয়ামে। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের পুনরায় নির্বাচিত চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতা-কর্মীদের দ্বন্দ্ব থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার ঠিক দুদিন পরে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকেই ঘোষিত দলীয় প্রার্থীর প্রতিবাদে মন্ত্রী, বিধায়কের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ থেকে সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা পথে নেমে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। এমনকী বহু জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়েছে।
বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ঘোষণার পরই উঠে আসে বিক্ষোভের ছবি।তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দাবি, বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে তৃণমূল টিকিট না দিয়ে এবার প্রার্থী করেছে কাকলী দত্ত ব্যানার্জিকে। এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা, বিদায়ী কাউন্সিলার অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে কেন দলের প্রার্থী করা হল না? অন্যদিকে বাঁকুড়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছে অভিজিৎ সিংহকে। কিন্তু বহিরাগত ইস্যুতে ওই প্রার্থীকে মানতে নারাজ এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশই।
আরও পড়ুন: Budget 2022: মোদী নিলেন বাংলার নাম, নির্মলার বাজেটে কী পেল পশ্চিমবঙ্গ
একই ছবি ধরা পড়ল কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বদল নিয়েও।অন্যদিকে নদিয়ার হরিণঘাটা পুরসভার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জাগুলি মোড়ে এই পুরসভার একাধিক প্রার্থী বদলের দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়। প্রার্থী তালিকার বিভ্রাটে সাংগঠনিক ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যে একচ্ছত্রভাবে ক্ষমতায় থাকার পরও এই বেহাল দশায় অদূর ভবিষ্যতের অশনি সংকেত দেখছে অভিজ্ঞ মহল।
কোন যাদুবলে, কোন যোগ্যতায় কেউ কেউ প্রার্থী হয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের একাংশ। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসর পর, দলনেত্রীর হুঁশিয়ারির ২ দিনের মধ্যে প্রর্থীর নাম ঘোষণার পর দলের কঙ্কলাসার অবস্থা। অভিজ্ঞ মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন পৌরনির্বাচন হয়নি তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Malda Accident: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাড়িতে ঢুকল গাড়ি! মৃত এক দম্পতি-সহ ৪