সংসদের দু’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে মিমি ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে মিমির এই ইস্তফা দেওয়ার বহরে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ঘিরে জল্পনার উদ্রেক হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজনীতি থেকে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নিচ্ছেন মিমি?
সংসদে শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ছিলেন শক্তি মন্ত্রক এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্য। তা থেকেও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার মিমি নলমুড়ি আর জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। মঙ্গলে তিনি ছাড়লেন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি।
পর পর দু’দিন মিমির এই পদক্ষেপ দেখে অনেকেই মনে করছেন রাজনীতি এবং যাদবপুর লোকসভা থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তিনি। এই ভাবেই রাজনীতি থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছিলেন ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর অভিনেতা-সাংসদ মত বদলেছেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরামবাগেও গিয়েছিলেন দেব। সেই মঞ্চ থেকেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, ফের তিনি ঘাটালে প্রার্থী হচ্ছেন। তবে দেবকে আবার প্রার্থী করার বিষয়ে তৃণমূলনেত্রী আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু মিমির ক্ষেত্রে তৃণমূল সেই আগ্রহ দেখাবে কি না তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে।
আসলে সাংসদ হলেও সংসদে মিমির সক্রিয়তা সেভাবে চোখে পড়ে না। দলের অন্যান্য সাংসদদের তুলনায় নিজের এলাকাতেও তাঁর সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে একাধিক। চব্বিশের ভোটে তাঁকে দল টিকিট দেবে কিনা, সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর একের পর এক ইস্তফা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়ছে।