নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষার আগমন ঘটেছিল এবছর। তবে স্থলভাগে বর্ষা ঢুকতেই বৃষ্টির পরিমাণে ঘাটতি দেখা গেল। গত ২৯ মে দেশের স্থলভাগে বর্ষা ঢোকে বলে ঘোষণা করে আইএমডি। তবে এরপর থেকে বিগত এক সপ্তাহে বর্ষায় বর্ষণ আশানুরূপ ছিল না। তার প্রভাব পড়ল বাংলাতেও। ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি পাওয়া দূর অস্ত্ বরং আগামী তিন দিন গরম আরও বাড়তে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সোমবার জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক থেকে দু’ ডিগ্রি বাড়বে দিনের তাপমাত্রা। তার সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত প্যাচপেচে গরমও থাকবে।
দিন কয়েক আগেই বর্ষা ঢুকেছে রাজ্যে। আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর। তবে এখনও উত্তরবঙ্গ ছাড়িয়ে দক্ষিণে এসে পৌঁছয়নি বর্ষা। যদিও সোম এবং মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে কোথাও হালকা কোথাও বা মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এমনকি, ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। তবে তারপরও থাকছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর গরম বৃদ্ধি পাওয়ার ভয়।
আরও পড়ুন: Police Death: ডায়মন্ড হারবারে পুলিস কর্মীর রহস্যমৃত্যু, পেট্রল পাম্প থেকে দেহ উদ্ধার
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে ভারতের বর্ষার জীবনরেখা বলা হয়। সেই মৌসুমি বায়ুর শ্লথগতি তাই ভাবাচ্ছে আবহবিদদের। মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য বলছে কেরলে বর্ষা ঢোকার পরের কিছু দিন গড়ে ৬-৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সেখানে এ বছর কেরলে সর্বোচ্চ ৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তা-ও শুধুমাত্রা আলাপ্পুজার মোনকোম্বু গ্রামে। একটি বেসরকারি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সংস্থা জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহেও কেরলে জোরালো বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
গত এক সপ্তাহে কেরলে হওয়া বৃষ্টিতে প্রায় ৫০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। এমনকি, বেশ কিছু এলাকায় শনি এবং রবিবার তাপমাত্রাও ছিল অনেকটা বেশি। যা বর্ষার এই সময় সাধারণত কেরলে থাকে না। বর্ষার এমন ঢিমে তাল দেখে তাই তার পরের গতিপথ নিয়েও চিন্তা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: Local Trains: আগামী ১ মাস ব্যান্ডেল শাখায় বাতিল একাধিক লোকাল ট্রেন, যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা