ভরদুপুরে মোবাইল (Mobile) ফোনে মগ্ন হয়ে ঘরে বসেছিল কিশোরী মেয়ে (Daughter)। ঠিক পাশের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করলেন তার মা! কিছু টের পেল না মেয়ে। আজ, রবিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আশ্রম পাড়া এলাকার এই ঘটনায় মেয়ের কথা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। এমনটাও সম্ভব! খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে, আগামীকাল ময়নাতদন্ত হবে।
প্রায় তিন মাস আগে আশ্রম পাড়ায় এক বাড়িতে ভাড়া এসেছিলেন রত্না ভৌমিক (৪৫)। তিনি পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারের চাকরি করতেন। কয়েকবছর থেকে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন৷ মহিলার যুবতী মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে তিনি থাকতেন, দাবি পড়শিদের। মহিলার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না বলে দাবি পরিবারের। দু’টি পাশাপাশি ঘরে থাকতেন মেয়ে ও মা।
আরও পড়ুন: Digha: জালে মানুষ সমান তেলিয়া ভোলা! বিক্রি হল ১৩ লাখ টাকায়
এদিন মৃত মহিলার মেয়ে অনেষা ভৌমিক বলেন, “আমি মোবাইল দেখছিলাম। পাশের ঘরে মা ছিল। ভাত খাওয়ার জন্য মাকে ডাক দিতে গিয়ে দেখি এই ঘটনা। দরজা ভেজানো ছিল, আমি কিছুই বুঝতে পারিনি।” স্থানীয় কাউন্সিলর দীনেশ রাউত বলেন, “তিন মাস আগেই এখানে এসেছিলেন। আজ শুনলাম অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। পুলিশ এসেছে। শুনেছি পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল।”
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে তারা গিয়ে দেখে, মাঝবয়সি মহিলা রত্না ভৌমিক সরকার সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। খাটের উপরে চেয়ার রাখা ছিল। মৃতার দেহটি ছিল, বিছানায় হাঁটু গেড়ে, চেয়ারে হেলান দেওয়া অবস্থায়। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। তাতে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ এই একই কথা তিনবার লেখা রয়েছে সাদা কাগজে, নীচে রত্না সরকার নামও লেখা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: Bus Accident: ৭১ জন পড়ুয়া নিয়ে রাস্তার ধারে উল্টে গেল বাস, বিপত্তি মালদহে