Murder to get rid of homosexuality? Burnt body of young woman rescued at girlfriend's house

সমকামী সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে ‘খুন’? বান্ধবীর বাড়িতেই উদ্ধার তরুণীর দগ্ধ দেহ

সমকামী সম্পর্ক ছিল দু’‌জনের মধ্যে। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল অপরজন। এই সম্পর্কের দড়ি টানাটানির জেরে বান্ধবীকে বাড়িতে ডেকে গায়ে আগুন দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল আর এক তরুণীর বিরুদ্ধে।

বারাকপুরের আদর্শপল্লির বাসিন্দা চর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাবালিকার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলাপ হয়। কথাবার্তা চলতে থাকে। একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু হয়। উপহার দেওয়া নেওয়াও হয়। কিছুদিনের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। চর্চিতার পরিবারের দাবি, নাবালিকাকে ভালবেসে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি। নাবালিকাও সেকথাই জানান। প্রথমে চর্চিতার পরিবার সম্পর্ক মানতে চায় না। বারবার বোঝানো হয় তাঁকে। তবে তাতেও সম্পর্ক ছেড়ে বেরতে চাননি চর্চিতা। অবশেষে হাল ছেড়ে দেন চর্চিতার মা। মেয়ের সমকামী সম্পর্ক মেনে নেন তিনি।

আরও পড়ুন: শাহের সফরে মাঝেই ঝাড়গ্রামে পদত্যাগ ৮০ বিজেপি নেতা–কর্মীর, বঙ্গ বিজেপিতে অস্বস্তি

চর্চিতার পরিবার কী বলছে?‌ চর্চিতার পরিবার সূত্রে খবর, এই সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। নবনীতা দূরত্ব তৈরি করেছিল। নবনীতা বাড়িতে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। চর্চিতার মোবাইল নম্বরও ব্লক করে দিয়েছিল। শুক্রবার অশান্তি চরমে পৌঁছয়। এই পরিস্থিতিতে চর্চিতা বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে নবনীতার বাড়িতে যায়।

চর্চিতা বাড়িতে না ফেরায় নবনীতার বাড়িতে যান তাঁরা। সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে চর্চিতার। আর নবনীতার পরিবারের দাবি, নিজেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন চর্চিতা। যদিও আত্মহত্যার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন নিহতের মা ও দাদা। তাঁদের দাবি, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চর্চিতার চিৎকার চেঁচামেচি কেন শুনতে পেলেন না নাবালিকার প্রতিবেশীরা? পরিকল্পনামাফিক হাত, মুখ বেঁধে তরুণীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। চর্চিতার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: Berhampore Murder: ‘তুই বললে বিষ খেয়ে মরে যেতাম’, ভাইরাল সুতপাকে শেষ ভিডিয়ো সুশান্তর