সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা শোধ দিতে পারছিলেন না। সেটাই তাঁর ‘অপরাধ’। আর শাস্তি হিসাবে রেললাইনের ধারে ফেলে দেওয়া হল এক ব্যক্তিকে। ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ল পা। মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া। গুরুতর অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি। সূত্রে খবর, তাঁর বাঁ পা কাটা পড়েছে।
হাসপাতালে শয্যায় শুয়ে রুদ্রভৈরব বলেন,‘‘সুদে অফিসের এক সহকর্মী এবং তাঁর বন্ধুর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ধার করেছিলাম। সেই টাকা শোধ করার পরও ওঁরা সুদের টাকা বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। সেই টাকা ফেরত চেয়ে দিন কয়েক ধরে চাপ দিচ্ছিল।’’ একটু থেমে তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবলুন গ্রামের বাড়ি থেকে কাটোয়ার বাড়িতে ফেরার সময় ২ জন মোটর বাইক নিয়ে আমার পথ আটকে দাঁড়ায়। তার পর কিছু একটা খাইয়ে দেয় আমাকে।’’
আরও পড়ুন: Maheshtala Blast: বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির ছাদ, জখম ৩ শিশু সহ ৫
বৃহস্পতিবার কাটোয়া আজিমগঞ্জ লাইনের পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের শিবলুন স্টেশনের অম্বলগ্রাম রেল লাইনের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। এর পর ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় জিআরপি এবং পুলিশ প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করলেও পরিবারের পক্ষে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর। তবে মারাত্মক ভাবে জখম হওয়া ওই ব্যক্তি নিজের মুখে বলেছেন তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে।
রুদ্রভৈরববাবুর ছেলে শৌভিকের দাবি, তাঁর বাবা এক ব্যক্তির থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। তাঁর টাকা শোধ করার জন্য অন্য একজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নেন। দ্বিতীয় ব্যক্তিকে আর টাকা শোধ করতে পারছিলেন না। তা নিয়ে অশান্তি চলছিল। তারাই বৃহস্পতিবার একটি বাইকে করে রুদ্রভৈরববাবুকে রেললাইনের ধারে নিয়ে যায়। বেহুঁশ করে হাত-পা বেঁধে রেললাইনের পাশে ফেলে দেওয়া হয় রুদ্রভৈরববাবুকে। এরপরই ট্রেনে পা কাটা পড়ে তাঁর।