অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্য মৃত্যুর খবর মেলে রবিবার সকালে। গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহখানা। তবে, এই সময় গড়াতেই এই মৃত্যু-রহস্যে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে সাগ্নিক চক্রবর্তীর নাম। সাগ্নিক আর পল্লবী একসঙ্গেই থাকতেন। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় নিজেদের ‘বিবাহিত’ পরিচয় দিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটের প্রতিটা মানুষই সেটাই জানত।
পল্লবীর বাবা নীলু দে’ অভিযোগ, পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে বিবাহিত ছিলেন সাগ্নিক। নিজের পুরোনো বিবাহিত সম্পর্কের পাশাপাশি নতুন সম্পর্কে জড়ান সাগ্নিক। সাগ্নিক যে বিবাহিত ছিল তা জানতও না পল্লবী। অনেক পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। এখানেই শেষ নয়,পল্লবী না থাকলেই এক মহিলা নাকি অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে আসত। এবার জানা গেল পল্লবীর অনুপস্থিতিতে যে মেয়েকে গড়ফার গাঙ্গুলী বাগানের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসত সাগ্নিক তিনি নাকি পল্লবীর বান্ধবী। এই কথা পল্লবী জানতেই তাদের মধ্যে প্রচুর অশান্তিও হয়েছিল। পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইনে থেকেও একাধিক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল সাগ্নিক? প্রিয়জনের এহেন নোংরামি সহ্য করতে না পেরেই কি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন পল্লবী? রহস্য জট ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Urfi Javed: ঝিনুক দিয়ে ঢাকা বুক, নীচে ফিনফিনে ওড়না! উরফির ‘অর্ধনগ্ন’ লুক নিয়ে হৈচৈ
পল্লবীর বন্ধু অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী (Sayak Chakraborty) জানান, দিন দুয়েক আগে সমস্যা দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী এবং সাগ্নিকের মধ্যে। এর পর মিটমাটও হয়ে যায়। একসঙ্গে নাকি নৈশভোজেও গিয়েছিলেন তাঁরা। পল্লবীর ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার জানান, শনিবার রাতে সাগ্নিকের সঙ্গেই বাড়ি ফিরেছিলেন অভিনেত্রী।
পুলিশি তদন্ত থেকে জানা যায়, শনিবার রাত থেকেই দু’জনের বচসা শুরু। রবিবার সকালেও থামেনি ঝামেলা। সাগ্নিক সিগারেট খেতে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। তখনই নাকি শোওয়ার ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন পল্লবী। ধাক্কা মেরে দরজা খুলে ঘর থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁর প্রেমিক। প্রায় দেড় বছর ধরে একত্রবাস করছিলেন তাঁরা। গড়ফার ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকছিলেন দু’জনে।
অন্যদিকে, পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসে গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আত্মহত্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। জিজ্ঞাসাবাদের পর সাগ্নিককেও ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: Pallabi Dey: গাড়ি-সহ একাধিক EMI নিয়ে চাপে ছিল পল্লবী, পুলিশকে জানাল ‘লিভ ইন পার্টনার’ সাগ্নিক