রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। এখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর খামতি দ্রুত মেটাতে এয়ারলিফট করে আনা হচ্ছে।
রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বাহিনীর আসা নিয়ে ধন্দ ছিল। আদৌ প্রয়োজনমাফিক বাহিনী পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ভোট শুরুর আগের দিন সেই সমস্যা সমাধানের পথ দেখা যেতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য লাদাখের লেহ্ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিমানে করে তুলে আনা হচ্ছে বাংলায়। মোট পাঁচ কোম্পানি এবং দুই প্লাটুন (প্লাটুনে ৩৫ জন থাকেন, তাঁর মধ্যে সক্রিয় থাকেন ৩০ জন) বাহিনী লেহ্ থেকে বিমানে এসে নামছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের বিমানঘাঁটিতে। সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের মোতায়েন করা হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু প্রথম দফায় ৩০০-এর কিছু বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছায়। বাকি বাহিনী নিয়ে ধোঁয়াশা অনিশ্চয়তার পর ৩ জুলাই কমিশন জানায় আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হবে। বাকি কোম্পানির মধ্যে ১৮৫ কোম্পানি ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। বাকি বাহিনী আজ রাতের মধ্যে রাজ্যে আনানোর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় হিংসার ঘটনার উদাহরণ টেনে তাই প্রতি বুথে অন্তত হাফ সেকশন অর্থাৎ চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ভারপ্রাপ্ত কোঅর্ডিনেটর এবং বিএসএফের আইজি। সেই সঙ্গে বলেছিলেন রাজ্য পুলিশকেও পাহারায় থাকতে হবে। শুক্রবার সেই সমস্ত প্রস্তাব মেনে নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: Hilsa Fish: কাকদ্বীপ-নামখানায় উঠল ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, রাতেই ঢুকবে বাজারে