ভাঙড়ে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। ভোট মিটেছে তবে মেটেনি হিংসা, অশান্তি। এবার সেই হিংসার শিকার হলেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাকসুদ হাসান। ভাঙড়ে বোমাবাজির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হলেন তিনি।সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ISF-পুলিশবাহিনী। ঘটনায় ২ ISF কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। আরও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তিনি কোনও দলের সঙ্গেই যুক্ত নন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হন।
বুধবার সকালেও থমথমে ভাঙড়। রাস্তায় ছড়িয়ে বোমার চিহ্ন। জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং এর মাধ্যমে চলছে তল্লাশি। অশান্তি আটকাতে কড়া পুলিস। এলাকার গ্রামবাসীরা আতঙ্কে ঘরবন্দী। গোটা এলাকায় তাজা বোমা ও বন্দুক নিয়ে দাপাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। গণনার পর ভাঙড় যেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস প্রশাসন।
ভাঙড়ে সকাল-সকাল দুই আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু খবর প্রকাশ্যে আসে। উভয় পরিবারই বারংবার অভিযোগ জানিয়ে বলেন যে, হিংসার ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে এবং শওকত মোল্লা। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ উঠছে কী বলছেন সেই শওকত মোল্লা?
শওকত মোল্লা বলেন, “ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। পুলিশ গুলি চালিয়েছে।” বস্তুত, মৃত দুই আইএসএফ কর্মী হাসান আলি মোল্লা ও রেজাবুল গাজির পরিবারের সদস্যরা বারংবার অভিযোগ করে বলেন, “র্যাফের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছে আরাবুলের বাহিনী।” সেই দাবিকেই নস্যাৎ করেন শওকত। জানান, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের জিজ্ঞাসা করলেই সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। কারা র্যাফের পোশাকে ছিলেন আর কারা ছিলেন না জওয়ানরাই বলে দেবেন।”
আরও পড়ুন: Panchayat Election Result 2023 : কথা রাখল না কুসুম্বা, মমতার মামার বাড়ির গ্রামেই জয় বিজেপির