মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বীরভূমের সম্পর্ক বহু পুরনো দিনের। অতীত জীবনের কথা শোনানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার মুখে একাধিকবার উঠে এসেছে বীরভূমের তাঁর মামাবাড়ির প্রসঙ্গ। শৈশবের অনেকটা সময় মপুরহাট মহকুমার কুসুম্বাগ্রামে কেটেছে মমতার। এ গ্রাম তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। সম্প্রতি তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে রামপুরহাটে এসে কুসুম্বায় গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের রয়েছে ২১ আসন। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই কুসুম্বা গ্রামে রয়েছে ৩টি পঞ্চায়েতের আসন। রাজ্যডজুড়ে তৃণমূলের বিজয়রথের মধ্যেই মমতার মামাবাড়ির গ্রামে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। তিনটির মধ্যে ২টি আসনে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। একটি আসনে জিতেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: ভোট মিটলেও বিরাম নেই হিংসার, বোমা-গুলিতে তপ্ত এলাকা, জখম বহু
এই পঞ্চায়েতের ৩১ নম্বর বুথে ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায়ের পরিবার। এখানে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অর্চনা হাজরা। হেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সাথী লেট। অন্যদিকে এই গ্রামে ৩২ নম্বর বুথেও জয়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী গঙ্গাধর হাজরা। এখানে ঘাসফুলের প্রার্থী ছিলেন গৌতম লেট। পদ্মপ্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনিও। তবে ২৯ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আদিত্য দত্ত।
তবে তৃণমূল সুপ্রিমোর শৈশবের স্মৃতির সঙ্গে আষ্টেস্পৃষ্টে এ গ্রাম জড়িয়ে থাকলেও গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে মোটেই আশার আলো দেখায়নি এ গ্রাম। রামপুরহাটে বিধানসভায় তৃণমূলের জয় এলেও কুসুম্বা পঞ্চায়েতে জেতে বিজেপি। লোকসভা ভোটেও শতাব্দী রায় জিতেছিলেন, তবে কুসুম্বায় জয় পায় গেরুয়া শিবিরই। পঞ্চায়েত ভোটে সে হাওয়া কিছুটা হলেও অব্যাহত।