পঞ্চায়েত নির্বাচনকে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য এবার জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শনিবার থেকেই চালু হয়ে গেল এই কন্ট্রোল রুম। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চালু থাকবে পরিষেবা। ভোট সম্পর্কিত যত অভিযোগ আসবে, সেই সব অভিযোগ শুনবেন কন্ট্রোল রুমের আধিকারিক এবং কর্মীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শুধু অভিযোগ শুনেই থেমে থাকা হবে না। সমস্যার সমাধানও করা হবে কমিশনের তরফে।
২৪ ঘণ্টাব্যাপী এই কন্ট্রোল রুম কাজ করবে। রোস্টার অনুযায়ী কন্ট্রোল রুমের জন্য লোক নিয়োগ করছে কমিশন। নির্দেশে জানানো হয়েছে, যে অভিযোগগুলো আসবে প্রত্যেকটি অভিযোগের যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোক কাছে কন্ট্রোল রুমের নম্বর থাকবে। এমনকী সেই সমস্ত নম্বর ভোটের দিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির বাইরে উল্লেখ করা থাকবে। কোন অভিযোগ আসছে এবং সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ হচ্ছে তা নোট করার জন্য থাকবেন সুপারভাইজাররা। এই সমস্ত ঘটনার বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মিলবে ৩১৫ কোম্পানি। তাও পঞ্চায়েত ভোটের এক সপ্তাহেরও কম বাকি থাকতে মাত্র এখনও পর্যন্ত সাকুল্যে ২২ কোম্পানি রাজ্য এসেছে। বাকি বাহিনীও এসে যাবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই বাহিনী কী ভাবে ব্যবহার করা হবে তার রূপরেখা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বাহিনীকে নাকা চেকিং ও টহলদারির কাজে লাগানো হবে। এ ছাড়া জেলায় ভ্রাম্যমান বাহিনী হিসাবে ব্যবহার করা হবে। এলাকায় টহলদারী দিয়ে ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর কাজ করবেন জাওয়ানরা। এ ছাড়া এলাকা নিয়ন্ত্রণ, সীমান্ত এবং সীমানার চেকপোস্টে নজরদারির কাজে লাগানো হবে। তবে বুথে কী ভাবে মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে কিছু লেখা হয়নি কমিশনের চিঠি। তবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বক্তব্য অনুযায়ী, স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েনের ব্যবহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Condom : বিজেপির পতাকায় কন্ডোম! জলপাইগুড়িতে তুলকালাম