তখন সবে সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলকে বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। সংবাদমাধ্যমে লাইভ টেলিকাস্ট দেখানো শুরু হয়েছে। ডিজিটাল মিডিয়ায় একের পর এক খবর আছড়ে পড়ছে। সঙ্গে ভিডিয়ো থাকছে পর পর। তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তখন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় টিভির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। এরপর মাথা নীচু করে একটু পায়চারি শুরু করলেন। আবার তাকালেন টিভি স্ক্রিনে। দেখা হতেই কারারক্ষীদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি।
সূত্রের খবর, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির গ্রেফতারির খবর পার্থের কানে পৌঁছে দেন কারারক্ষীরা। খবর শুনেই ঘাড় ঘুরিয়ে রক্ষীদের পার্থ জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘অনুব্রত কি এই জেলেই আসবে?’’
আরও পড়ুন: Weather Update: ফের বঙ্গোপসাগরে ঘনাল নিম্নচাপ, বাংলা উপকূলে জারি লাল সতর্কতা
শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ মামলায় গত ২২ জুলাই শুক্রবার পার্থর নাকতলার বাড়িতে নাটকীয় ভাবে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সে দিন সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পার্থর বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল তদন্তকারী সংস্থা। সে দিনই মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই, শনিবার সকালে পার্থকে বাড়ি থেকে বার করেন তদন্তকারীরা। তার পর যত তদন্ত এগিয়েছে, ততই পরতে পরতে নাটকীয় মোড় নিয়েছে ঘটনাপ্রবাহ। বর্তমানে পার্থর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার।
২০ দিনের মাথায় খানিকটা একই কায়দায় ডেরা থেকে অনুব্রতকে পাকড়াও করল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার রাখিবন্ধনের দিন সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বোলপুরে তৃণমূলের ‘কেষ্ট’র বাড়ি ঘিরে ফেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঘণ্টাখানেক পর গরুপাচার মামলায় তৃণমূলের ‘দাপুটে নেতা’কে আটক করে গাড়িতে তোলেন তাঁরা। বর্তমানে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। গভীর রাতে অনুব্রতকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে (যেখানে সিবিআই দফতর) এনেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: চোখে জল, মুখে কুলুপ! গভীর রাতে CBI ঘেরাটোপে কলকাতায় অনুব্রত