Partha Chatterjee has removed from cabinet of Mamata Banerjee

Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে পার্থকে সরালেন মমতা, আপাতত দপ্তর সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রীই

অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) তিন দফতর থেকে অব্যাহতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। তার আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তিন দফতর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা রাজভবনকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন। সেই সঙ্গে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতর, পরিষদীয় দফতরও তাঁর অধীনে ছিল। এই সমস্ত দফতর থেকেই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, এই সব দপ্তরগুলি এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নিজেই দেখবেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, ত্রাণ-উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, তথ্যপ্রযুক্তি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, পরিকল্পনা রূপায়ণ, শিল্প বাণিজ্য, পরিষদীয় দপ্তর এবং শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের দায়িত্ব এসে পড়ল।তৃণমূলের অন্দরের অনুমান, মন্ত্রিত্ব যাওয়ার অর্থ, সন্ধ্যার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে পার্থের দলীয় মহাসচিব পদও যেতে চলেছে। পাশাপাশিই, তিনি দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকের পদটিও হারাতে চলেছেন।

আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা, জেনে নিন কেমন থাকবে কলকাতা-জেলাগুলি

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। এসএসসি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর বিষয়ে কি সেখানে কোনও আলোচনা করবেন মমতা? কিন্তু ওই বৈঠকে মমতা পার্থকে নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। মাত্র ১৫ মিনিটে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হয়ে যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কিছু ছিল না। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতেও বিষয়টি ছিল না। কারণ, রাজভবনকে বৃহস্পতিবার সকালেই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে গত কয়েক দিনে, পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর ফলে সেই ক্ষতি কতটা মেরামত করা যাবে, তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না দলীয় নেতৃত্ব। তবে একটা বিষয়ে তাঁরা একমত— পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে আমজনতার কাছে দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে ‘আপস’ না-করার একটা বার্তা দেওয়া গিয়েছে। সেই বার্তা জনতা কতটা গ্রহণ করে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। বিশেষত, বিরোধীরা যখন বহুদিন পর পার্থ-প্রশ্নে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। বুধবার শহরে তিনটি মিছিল করেছিল সিপিএম। বৃহস্পতিবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: PHD Scam: মাত্র ১ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েই ডক্টরেট? পার্থর পিএইচডি ফের প্রশ্নের মুখে, নজরে NBU