PHD Scam: Partha Chatterjee's PhD degree is also alleged to be fraudulent

PHD Scam: মাত্র ১ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েই ডক্টরেট? পার্থর পিএইচডি ফের প্রশ্নের মুখে, নজরে NBU

পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে ফের নানা প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীদের অভিযোগ মাত্র এক বছরে একটি ক্লাস না করেও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট হয়ে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময়ই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের এই পিএইচডি ডিগ্রিকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু পার্থর দাপটে মুখ খুলতে পারেননি অনেকেই।

বিরোধীদের অভিযোগ ইউজিসির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি হাতিয়ে নিয়েছিলেন। একাধিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে ২০১৩ সালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করে এক বছরের মধ্যে ২০১৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ বিশেষ অনুমতিতেই নাকি মাত্র একবছরের মধ্যেই গবেষণাপত্র জমা দিয়েছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী।  সূত্রের খবর, মাত্র একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু অত্যন্ত কম সময় মাত্র এক বছর সময়ের মধ্যে নিজের পিএইচডি ডিগ্রি পেয়ে যান তিনি। পিএইচডি’র পরীক্ষক হিসেবেও এক্সহিলেন তাঁরই ঘনিষ্ট অধ্যাপক বলে জানা গিয়েছে।

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, জোর করে প্রভাব খাটিয়ে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছিলেন। কোর্স ওয়ার্ক করেননি। ক্লাস করেননি। অন্যের নথি থেকে চুরি করে কোনও কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করেই তিনি পিএইচডি করেছিলেন। সেই সময় অনেকেই তাঁর কাছ থেকে সুবিধা পেয়েছিলেন। সেকারণে মুখ খোলেননি।

আরও পড়ুন: ‘আমার বান্ধবীরাও এদিক-সেদিক ছড়িয়ে আছে, ভয় লাগে’, বললেন চিরঞ্জিৎ

অভিযোগ, সবটাই নিজস্ব গবেষণা হিসাবেই থিসিস জমা দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে তৎকালীন উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদার কিছু আপত্তি তুললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এই বিষয়টিকে মান্যতা দেয়।

অন্যদিকে, পরবর্তীকালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওই উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয় পদ থেকে। পরবর্তীকালে, যে দুজন সহায়ক তাঁকে পিএইচডি পেতে গাইড হিসেবে সাহায্য করেছিলেন, সেই অনিল ভুঁইমালিকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়। অন্যদিকে পিএইচডিতে সহায়ক সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায়কে বসানো হয় দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে।

বিরোধীদের অভিযোগ, পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার পুরস্কার হিসেবেই নাকি দুই অধ্যাপককে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসেবে বসানো হয়েছিল। সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “সবটাই বেনিয়ম। শিক্ষামন্ত্রী হয়েও শিক্ষার ন্যূনতম নিয়ম না মেনেই ডিগ্রি নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সবাই সবটাই জানেন। এসবেরও তদন্ত হোক।”

আরও পড়ুন: ২০২৪-এ BJP আসবে না, আসবে না, আসবে না’, চ্যালেঞ্জ আত্মবিশ্বাসী Mamata Banerjee-র