রামপুরহাট গণহত্যার পর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার দাবি যখন ফের জোরদার হয়েছে তখনই বাংলার বিজেপি সাংসদদের বাসভবনে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার প্রাতরাশে নয়া দিল্লির ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে হাজির থাকবেন এরাজ্য থেকে বিজেপির ১৭ জন সাংসদ।
সোমবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানান, “আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী বাংলার ১৭ জন বিজেপি সাংসদকে দিল্লিতে নিজের বাসভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন। সকলেই ওই বৈঠকে অংশ নেবেন। বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) বাংলার বিজেপি সাংসদদের মুখ থেকে শুনবেন।” সম্প্রতি বগটুইয়ের ঘটনার কথাও প্রধানমন্ত্রীর কানে তুলবেন বলে উল্লেখ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘বাংলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন। তবে তিনি যদি সাংসদদের মুখ থেকে কিছু শুনতে চান, আমরা জানাব।’’
আরও পড়ুন: Weather Forecast: ভ্যাপসা গরম থেকে মিলবে রেহাই, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস বঙ্গে
গত কয়েক বছরে প্রায় নিয়ম করে বিজেপি সাংসদদের আমন্ত্রণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এ বার পশ্চিমবঙ্গের সাংসদদের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে অন্য তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিজেপি সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করতে পারেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। সোমবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার পরই প্রধানমন্ত্রী বাংলার বিজেপি সাংসদদের বাসভবনে আমন্ত্রণ জানানোয় জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে মাঝে আর ২টো বছর। তার পরই ফের লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি সাংসদদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত তা নিয়েও পরামর্শ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতই দাবি উঠুক আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করবে না কেন্দ্র। কারণ তা করলে সহানুভূতি পেয়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে পারে তারা।
আরও পড়ুন: Rampurhat Massacre: বাড়ল মৃতের সংখ্যা, হাসপাতালে মৃত্যু অগ্নিদগ্ধ নাজমা বিবির