Police allowed BJP leader Suvendu Adhikari to attend party programme in Kolkata

Suvendu Adhikari: বাদানুবাদের পর ছাড় পেলেন শুভেন্দু, কোলাঘাট হয়ে কলকাতা আসার অনুমতি পুলিশের

তমলুকের রাধামণি মোড়ে পুলিশি বাধা পেরিয়ে অবশেষে কলকাতার পথে যাত্রা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাধার মুখে পড়তেই পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান শুভেন্দু। অবশেষে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় কোথাও না দাঁড়ানোর শর্তে তাঁকে কলকাতার দিকে যাত্রা করতে দিয়েছে পুলিশ।

শনিবারই তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন হাওড়া জেলার উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় যাবেন তিনি। সেই কর্মসূচি উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় রবিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রাধামণি মোড়ের কাছে শুভেন্দুকে আটকায় পুলিশ। শুভেন্দু জানতে চান, তাঁকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ জানায়, তাঁরা জানতে পেরেছেন যে তিনি ‘অশান্ত’ হাওড়ায় যাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রেখে তাঁকে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না। এটা শুনেই মেজাজ হারান শুভেন্দু। রীতিমতো বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুন: পরনে আদিবাসী পোশাক, হাসিমারায় গণবিবাহ অনুষ্ঠানে খোশমেজাজে Mamata Banerjee

পুলিশের কাছে শুভেন্দু জানান, হাওড়া নয়, তিনি কোলাঘাট গেস্ট হাউসে যাচ্ছেন। তিনি এখন রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়নি। তাহলে এখানে কেন আটকানো হচ্ছে? যদিও তার পরেও রাস্তা ছাড়েনি পুলিশ। শুরু হয় চরম বাদানুবাদ। শুভেন্দু সেই সময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথাও বলেন। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ বলে কিছু নেই, সবই মমতা পুলিশ হয়ে গিয়েছে।’’ শুভেন্দু আটকে থাকায় তাঁর অনুগামীরাও জড়ো হন ওই এলাকায়। স্লোগান দিতে থাকেন। তাতে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাঁকে রাস্তায় আটকে দেওয়া নিয়ে আদালতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।

পুলিশ বাধা সরাতে রাজি না হওয়ায় মুখ্যসচিবকে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ইমেল করেন তিনি। এর পর শীর্ষমহলের নির্দেশে বাধা সরিয়ে নেন পুলিশ আধিকারিকরা। শুভেন্দু বলেন, আমাকে বলেছিল মুচলেকা দিতে। লিখতে হবে, আমি হাওড়া গ্রামীণে কোথাও ঢুকব না। আমি মুচলেকা দিইনি। শুধুমাত্র বলেছি, আমি ১৪৪ ধারা ভাঙব না।

আরও পড়ুন: Death: পানিহাটির দণ্ড মহোৎসবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, প্রচণ্ড গরমে মৃত ৩