স্ত্রী চাকরির জন্য দূরে চলে যাবে, সেটা না-পসন্দ। তাই স্ত্রী সরকারি নার্সের (Nurse) চাকরি পাওয়ায় ‘নিরাপত্তাহীনতা’ থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় ডান হাত কেটে নেয় স্বামী। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রাম (Ketugram) থানার অন্তর্গত কোজলসা গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। মঙ্গলবার কেতুগ্রামের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দুই জনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরে বাসে চেপে পালানোর ছক কষেছিলেন অভিযুক্ত শের মহম্মদের বাবা ও মা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম গ্রাম থানার পুলিশ চাকটা বাসস্ট্যাণ্ড থেকে গ্রেফতার করে তাঁদের। শের মহম্মদের হদিস পেতে তাঁর বাবা সিরাজ শেখ এবং মা মেহেরনিকা বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তারা।
শনিবার রাতে কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন রেণু। অভিযোগ, গভীর রাতে তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় ডান হাতে। কব্জি থেকে কেটে যায় হাত। রক্তাক্ত অবস্থাতেই রেণুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত। পরে দুর্গাপুরের এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। খবর দেওয়া হয় রেণুর বাপেরবাড়িতে। মহিলার বাড়ির লোকের দাবি, তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তাঁদের জামাই।
আরও পড়ুন: Weather Update: বাংলায় কড়া নাড়ছে বর্ষা, কলকাতায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামী সরিফুল শেখ কেতুগ্রামের বাসিন্দা। পেশায় মুদি দোকানদার। ২০১৭-র নভেম্বর মাসে সরিফুল শেখের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাসিন্দা রেণু খাতুনের। বিয়ের পর বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজ করতেন রেণু। পরে আরজিকর থেকে নার্সিংয়ের ট্রেনিং নেন তিনি। তারপরই সরকারি হাসপাতালে নার্সিংয়ের চাকরি পান রেণু।
কিন্তু স্ত্রী রেণু সরকারি হাসপাতালে চাকরি পেতেই, খুশি হওয়ার বদলে স্বামী সরিফুল ‘নিরাপত্তাহীনতা’য় ভুগতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সরকারি চাকরি পেয়ে স্বামীকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন রেণু! এমনটা ভাবতে শুরু করেন সরিফুল। তার বন্ধুরা তার মাথায় ওই কথা গেঁথে দেয়। রেণুর পরিবারের দাবি, শনিবার রাত্রিতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ফিস্ট করেছিল সরিফুল। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেণুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হাতুড়ি দিয়ে হাত থেঁতলে টিন কাটার কাঁচি করে ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Roddur Roy: মমতা-অভিষেককে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, গোয়া থেকে গ্রেফতার ইউটিউবার রোদ্দূর রায়