অবৈধভাবে মজুত করা কয়লা চুরি রুখতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশকর্মীরা। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগও। তাতে ৪-৫ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ খারিজ করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর এলাকা।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া লোকপুর থানা এলাকার নোপাড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ কয়লা মজুত করার অভিযোগ উঠেছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে কয়লা এনে বাড়িতে মজুত করা হচ্ছিল বলে খবর। শুক্রবার পুলিশ কয়লা বাজেয়াপ্ত করার জন্য অভিযান চালালে গ্রামবাসীরা বাধা দিতে থাকেন। এর পর পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় গ্রামবাসীদের। হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: ফের জাঁকিয়ে ঠান্ডা বঙ্গে, একধাক্কায় তাপমাত্রা নামবে ৫ ডিগ্রি
ডাম্পারেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আরও পুলিশ পৌঁছায়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ছোঁড়া হয় রবার বুলেটও। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামবাসীদের হামলায় কাঁকড়তলা থানার ওসি-সহ ৬ জন পুলিশকর্মী জখম হন।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় পুলিশ। তাতেই ৪ জন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন বলেও দাবি বিক্ষোভকারীদের। যদিও সে অভিযোগ খারিজ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র রবার বুলেট ছোঁড়া হয়। এই ঘটনার পর নোয়াপাড়া মোড়ে জমায়েত হন স্থানীয়রা। এখনও থমথমে গোটা গ্রাম। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে আর কোনও অশান্তি রুখতে আপাতত এলাকায় কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ।
আরও পড়ুন: Visva-Bharati: ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলনে পড়ুয়ারা, বলাকা গেটের সামনে ধস্তাধস্তি, নামল পুলিশ