‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভের আঁচ এবার বাংলাতেও। শুক্রবার সকাল থেকে ঠাকুরনগর (Thakurnagar), ভাটপাড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ। একাধিক স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেনাবাহিনীর চাকরিপ্রার্থীরা। অফিসটাইমে এই বিক্ষোভ-অশান্তির জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির স্বীকার নিত্যযাত্রীরা। একই অবস্থা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
বিক্ষোভের জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অবরোধের জেরে দাঁড়িয়ে ডাউন বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল। আপ লাইনে গোবরডাঙা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছিল। কিন্তু, প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ চলার পর রেল পুলিস ও রাজ্য পুলিস অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। আপাতত ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: Death: পানিহাটির দণ্ড মহোৎসবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, প্রচণ্ড গরমে মৃত ৩
গত মঙ্গলবারই এই প্রকল্প ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল এবার থেকে ১৭-২১ বছরের বয়সীদের চার বছরের জন্য মাসিক বেতনের চুক্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন ভাগে নিয়োগ করা হবে। তাদের ‘অগ্নিবীর’ নামকরণও করা হবে বলে জানানো হয়। চতুর্থ বছরের শেষে সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনার শূন্যপদের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। বাকিরা এককালীন অর্থের বিনিময়ে অবসর গ্রহণ করবেন। থাকবে না কোন পেনশন।
প্রকল্প ঘিরে মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশের একাধিক রাজ্যে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, দিল্লির মতো রাজ্যে প্রতিবাদ, আন্দোলন হিংসাত্মক আকারও ধারণ করে। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ছাড়াও, সেনাবাহিনীর চাকরি চুক্তিভিত্তিক করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান পড়ুয়া এবং চাকরিপ্রার্থীরা। কোথাও ভাঙচুর চালানো হয় ট্রেনে, কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ, কোথাও আবার পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি, ট্রেন অবরোধ। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করে পুলিস। ব্যাপক লাঠিচার্জও করা হয় ।
আরও পড়ুন: North Bengal: বর্ষার শুরুতেই বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা