আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আগামিকাল বুধবার রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রাখার ডাক দিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ও ডক্টরস। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে জরুরি নয় এমন সব পরিষেবাও বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলেই আরজি করের বক্ষরোগ বিভাগে সংস্কারের কাজ হয়েছে। যে অকুস্থলে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে, সেই সেমিনার হলের উল্টো দিকের ঘরই ভাঙা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক সংগঠনের সন্দেহ, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস-এর দাবি, সেই কারণেই বুধবার আট ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে তারা। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে ওই চিকিৎসক সংগঠন। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারও বুধবার ওই আট ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার কথা বলেছে তারা।
সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আজ যখন শুনলাম আরজি করের বক্ষরোগ বিভাগে সংস্কারের নামে ভাঙা হচ্ছে, আমরা নিশ্চিত প্রমাণ লোপাটের যে আশঙ্কা করেছিলাম তা দৃঢ় হচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে ও ব্যক্তিগত চেম্বারে আগামিকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বহির্বিভাগ ও অ-জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।”
সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক পুন্যব্রত গুন জানিয়েছেন, “আজ হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষকে লম্বা ছুটিতে যেতে হয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে যতক্ষণ না অপরাধী ধরা পড়ছেন, ততক্ষণ চাপ তৈরির জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের থাকা দরকার।”
রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উপ্তত্ত রাজ্যের চিকিৎসক মহল। অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আর জি করের আউটডোর আগে থেকেই বন্ধ। রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আন্দোলন করছেন। আউটডোর পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। রাজ্যের অনেক হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ থাকার পর রোগী ভোগান্তির চিত্র উঠে এসেছে। চিকিৎসকদের ঐক্য মঞ্চের ডাকা কর্মবিরতি ডাকে রোগীদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।