হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিট পাওয়ার পর থেকে প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। কখনও রোড শো, তো কখনও পায়ে হেঁটে প্রচার করছেন তিনি। শনিবার সকালে প্রথমে বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়ায় হুডখোলা গাড়িতে রোড শো করেন। সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে পুজো দেন। বেড়াবেড়ি হরিসভায় পুজো দেন তিনি। ভিড় জমানো সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশে বাতাসা হরিলুট দেন।
প্রচারের ফাঁকে চৌখণ্ডীপোতায় মানিক বাগ নামে এক দলীয় সমর্থকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন তিনি। মাটির বাড়ি। টালির চাল। সেই বাড়ির দাওয়ায় বসে খেলেন রচনা। সঙ্গে ছিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না ও তাঁর স্ত্রী করবী মান্না। করবী হরিপালের বিধায়ক। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, বড়ি ভাজা, সজনে ডাঁটার তরকারি। শেষ পাতে ছিল টক দই। তিনি বলেন, “কখনও মাটির দাওয়ায় বসে খাইনি। মাটির দাওয়ায় বসে খাওয়ার অনুভূতি অসাধারণ।” সবার সঙ্গে মাটিতে পাত পেড়ে খেয়ে খুশি রচনা। বললেন, ‘এমন করে কখনও খাইনি। খুব ভাল লাগল। এত ভালবেসে আপ্যায়ন করলেন। আমি খুব আনন্দ করে খেলাম। আর মাটির বাড়ি ঠান্ডা হয়, গরমে খুব ভাল লাগল।’
এরপরই কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন আবাস যোজনা নিয়ে। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। ফলে ওঁরা পাকা বাড়ি করতে পারেননি। দিনের পর দিন কষ্ট করে থাকছেন। এরকম অনেকেই কষ্ট করে আছেন। তাঁদের কথা শুনে খারাপ লেগেছে। তাঁরা ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকছেন, কখন ঝড়-জল হবে আর বাড়ি ভেঙে পড়বে। বা টালি উড়ে যাবে।’ সংসদে যেতে পারলে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানালেন।
সজনে ডাটা, বড়ি ভাজা আর লঙ্কা তাঁর প্রিয়। মধ্যাহ্নভোজে তা পেয়ে খুব খুশি রচনা। আর সবচেয়ে খুশি হয়েছেন টক দই খেয়ে। বললেন, ‘এমন দই কলকাতায় পাই না। এত ভাল দই এখানকার। আমি তো ভাবছি যতবার আসব, এখান থেকে দই নিয়ে যাব।’ সিঙ্গুরের দই কেন এত ভাল, তারও ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী। বললেন, ‘সিঙ্গুরের মাটি এত গাছ ও ঘাস-পালায় ভর্তি। আর সেগুলো গরু খাচ্ছে। সেগুলো খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। এর ফলে দুধটা এত ভাল হয়। সেখান থেকে দইটা ভাল হয়।’ এরপরই বেচারাম মান্নার প্রশংসা করে বলেন, বেচারামদা পরিবেশটাই এত সুন্দর করে রেখেছে। সেজন্য এখানকার গরু ভাল ঘাস-পালা খেতে পায়।