প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজল তিলোত্তমা-সহ গোটা রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দফায় দফায় চলছে বৃষ্টি। একধাক্কায় অনেকটা কমল তাপমাত্রা। শুক্রবার সকাল থেকেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে গোটা বাংলায়। আগামী চার-পাঁচ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামিকাল থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে।
হাওয়া অফিস বলছে, কলকাতায় ৬.৫ ডিগ্রি কমল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। একদিন আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালের আপডেট বলছে আলিপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৫৩.৬ মিলিমিটার।
এদিকে রবিবারের মধ্যে বর্ষা আসছে উত্তরবঙ্গে। ইতিমধ্যেই উত্তরে শুরু হয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। আগামী ৫ দিন উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এদিনও উত্তরের তিন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি সতর্কতা রয়েছে। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়াও বইবে। আগামী চার থেকে পাঁচদিন দার্জিলিং, কালিম্পংয়েও ভারী বৃষ্টি তে পারে। নতুন মাসের শুরুতে আবার উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরে।
শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উপকূলের কয়েকটি জেলায় দমকা ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। গতিবেগ থাকতে পারে প্রায় ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বাকি জেলাতেও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাসের সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে থাকছে বজ্রপাতের আশঙ্কাও।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে বৃহস্পতিবার ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। পরিস্থিতি অনুকূল রয়েছে ৩ দিনের মধ্যে বাংলায় মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাওয়ার। তিনদিন আগেই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগাম বর্ষা এসেছিল। মৌসুম ভবনের নির্ধারিত দিনের দুদিন আগেই কেরলে পৌঁছে গেল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কেরলের বাকি অংশ এবং নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরামের বাকি অংশে ঢুকে পড়বে মৌসুমী বায়। অরুণাচল প্রদেশের বেশিরভাগ অংশেই ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। একটি অক্ষরেখা রয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। যেটি মধ্যপ্রদেশ ছত্রিশগড় ঝাড়খন্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। অসম ও উত্তরপ্রদেশে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে।