Rajpur Sonarpur Municipality:TMC Councillor Of Sonarpur Alleges That She Can Not Go To Her Ward Officer Due To Pressure Of A Party Leader

Rajpur Sonarpur Municipality : তৃণমূল নেতার বিয়ের প্রস্তাবে ‘না’, ‘বেশ্যা, যৌনকর্মী’ শুনতে হচ্ছে, বিস্ফোরক তৃণমূল কাউন্সিলর

একজন বলছেন ‘হবু স্ত্রী’ অন্যজনের দাবি শুধুই ‘বন্ধুত্ব’। কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক তা বিচার করার দায়িত্ব আমজনতার না থাকলেও শুক্রবার আচমকা খবরের শিরোনামে উঠে আসা তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার এবং তৃণমূলের যুব নেতা প্রতীক দের সম্পর্কের টানাপড়েন যেন এখন চর্চার বিষয় গোটা রাজ্যে।

পুরমাতা পাপিয়া হালদারের অভিযোগ, তাঁকে বিয়ে করতে চান যুবনেতা প্রতীক দে। কিন্তু তাঁকে প্রত্যাখ্যান করায় নিজের ওয়ার্ডের মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছেন না তিনি। অন্য দিকে, যুবনেতার দাবি, তাঁদের সম্পর্ক ছিল। এখন এক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ করছেন পাপিয়া। পুরমাতা বনাম যুবনেতার এই ‘যুদ্ধে’ শোরগোল রাজপুর-সোনারপুর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ঝগড়া গড়িয়েছে থানা-পুলিশ পর্যন্ত।

ফেসবুক লাইভে পাপিয়া হালদারের অভিযোগ, তাঁর নাম করে নানা ভাবে তোলা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর তিনি প্রতিবাদ জানালে তাঁকে তোলার বখরা হিসাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি তা নিতে রাজি হননি। তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভার অন্তর্গত খাস জমিও দখল করা হচ্ছে। তিনি ফেসবুকে প্রদীপকুমার দে নামে এক তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে এই অভিযোগ করেছেন।

কাউন্সিলাররের অভিযোগ, গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে হামলায় চালায় দলেরই একাংশ। সেই ভিডিয়ো তিনি উচ্চ নেতৃত্বের কাছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর। এ নিয়ে স্থানীয় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাকেও চিঠি দিয়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি বাড়ি থেকে বেরোলেই তাঁকে, ‘বেশ্যা, যৌনকর্মী’-সহ নানা অশালীন কটুক্তি করা হচ্ছে। ফেসবুক লাইভেই তিনি জানিয়েছেন, ওই যুবনেতা তাঁকে এককালে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের আক্রমণ শুরু হয়।

অন্যদিকে, প্রতীক বলছে, ‘২০২২-র ৫ জানুয়ারি আমি ওঁকে রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে এসেছিলাম। বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আমি ওঁকে নিজের হবু স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। এই সম্পর্কের অবনতির পিছনে তৃতীয় ব্যক্তি রয়েছেন।’