শক্তিগড়ে শ্যুটআউট! (Shaktigarh Shootout) জাতীয় সড়কের ধারে কয়লা মাফিয়া (Coal Mafia) রাজু ঝা (Raju Jha)-কে গুলি করে খুন। গুরুতর আহত মৃতের সঙ্গীও!
শনিবার রাত ৮টা নাগাদ একটি সাদা চারচাকা গাড়ি শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িতে ছিলেন চার জন। সেই সময় কলকাতাগামী একটি নীল রঙের গাড়ি থেকে গুলি ছোড়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, চার থেকে পাঁচটি গুলি চালানো হয়। চালকের পাশের আসনে রাজু বসেছিলেন। মূলত তাঁকে নিশানা করা হয়। আরও এক জন গুলিতে জখম হন। দু’জনকেই বর্ধমানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাজুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: Draupadi Murmu: ঘুরে দেখবেন নেতাজি ভবন, যাবেন ঠাকুরবাড়িও! কলকাতায় একগুচ্ছ কর্মসূচি রাষ্ট্রপতির
এরপরই শুরু হয় তল্লাশি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, পালসিটের রাস্তা ধরে কলকাতায় পালিয়ছেন দুষ্কৃতীরা। পরে দেখা যায়, সেই ধারনা ভুল। জামালপুরের ধারে একটি নীল রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই গাড়ি শনাক্ত করতে ঘটনাস্থল থেকে রাজুর গাড়ির চালক ও ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবু জিয়া শেখকে আজপুরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁরাই গাড়িটিকে শনাক্ত করে বলে খবর। আপাতত গাড়িটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির নম্বরপ্লেটটি ভুয়ো। সড়কপথে কলকাতার দিকে না গিয়ে রেলপথকেই বেছে নিয়েছেন আততায়ীরা। পুলিশের অনুমান, প্রথমে তাঁদের সড়কপথেই কলকাতার দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা পরিকল্পনা বদল করেন। রেলস্টেশনের রাস্তায় গাড়িটি ফেলে রেখে রাজুর আততায়ীরা ট্রেনে উঠে পালিয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওই নীল গাড়ির মধ্যে থেকে বেশ কয়েকটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কিন্তু কে এই রাজেশ ঝা ওরফে রাজু ঝা? সূত্রের খবর, তিনি দুর্গাপুরের বাসিন্দা। বিগতদিনে তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। খোলা মুখ খনি ও অবৈধ কয়লার কারবারে নাম জড়িয়েছিল তার। সিআইডি তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছিল। তিনি রাজু ঝাঁ বলেই পরিচিত। ২০২১ সালের ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।তারপরেই সিআইডি তাকে হেফাজতে নিয়ে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Modi-Mamata: মমতার ধরনার পরই ৬৩৮ কোটি পাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিলের বকেয়া মেটাচ্ছে কেন্দ্র