বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হিংসার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রামপুরহাটের হিংসাকে ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে যান সুকান্ত মজুমদার। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতির। এই বৈঠকের পরেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন শাহ।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বঙ্গ বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহ, রাজু বিস্তারা। সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে এসে সুকান্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অমিত শাহ আমাদের আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তার পর যুগ্মসচিব স্তরের আধিকারিকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় দল বাংলায় যাবে। যে ঘটনা ঘটেছে তা মানবতার লজ্জা। বাংলায় এই ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে দল যাবে বাংলায়।’’
আরও পড়ুন: Cyclone Asani: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’-তে কি দাপট দেখাবে পশ্চিমবঙ্গে ? বৃষ্টি বা ঝড় কী হবে?
সুকান্তের দাবির তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেরলে, রাজস্থানে, উত্তরপ্রদেশে যখন গোলমাল হয়, তখন কি সেখানে কেন্দ্রীয় দল যায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই পশ্চিম বাংলার মানুষের শান্তি, সম্প্রীতি বিঘ্নিত করাই আসল উদ্দেশ্য।’’
রামপুরহাটের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্লোজ করা হয়েছে থানার ওসিকে। অপসারিত হয়েছেন এসডিপিও। তদন্তের ভার গিয়েছে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) হাতে। এই পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে খোদ অমিত শাহের কাছে দরবার করল রাজ্য বিজেপি।
আরও পড়ুন: Rampuhat Clash: সিট গঠন করল রাজ্য, সরানো হল OC, SDPO-কে