শনিবারই রামপুরহাট কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। দায়িত্ব নিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। গতকাল রামপুরহাট থানা এবং সার্কেল ইন্সপেক্টরের অফিসে গিয়ে মামলা সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ সেখান থেকে বগটুই গ্রামে পৌঁছেছিলেন তাঁরা ৷ এদিকে রবিবারই এই ঘটনায় ধৃত আনারুল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই।
থানা থেকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে আনা হয় আনারুলকে। সেখানেই ধৃত তৃণমূল নেতা সহ ৪ জনকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে। ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে সিবিআই। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২১ জনের নাম এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র রয়েছে। বগটুই-কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি ধৃত তৃণমূল নেতা আনিরুল হোসেনের। এদিন বগটুই-কাণ্ডে আহতদের বয়ান রেকর্ড করার জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এক নাবালিকা ও তিন মহিলা। সে দিন কী হয়েছিল, কী কী চাক্ষুষ করেছেন, আহতদের সেই বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই।
এখনও বগটুই গ্রামের অনেক বাসিন্দাই গ্রামছাড়া৷ যে বাড়িগুলিতে মানুষ রয়েছে, সেগুলিও পুরুষ শূন্য৷ এই অবস্থায় বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেই গত ২১ মার্চ রাতে কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা৷ পাশাপাশি ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল, তার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে সিবিআই। পুলিশের কাছ থেকে নেওয়া হবে এই সিসিটিভি ফুটেজ। সিসিটিভি-তে যাদের দেখা যাবে,তাদের চিহ্নিত করতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।