কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরই তৎপর সিবিআই। রামপুরহাটের বগটুইতে (Bagtui) নমুনা সংগ্রহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা। 3D স্ক্যানারের সাহায্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহের পর রামপুরহাট (Rampurhat) থানাতেও যান আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা হয়।
যে পথে দুষ্কৃতীরা সোনা শেখের বাড়িতে ঢুকে আগুন লাগায় বলে অভিযোগ ওঠে, এদিন তদন্তকারীরা ঠিক সেই পথ ধরেই ঢোকেন। এরপরই চলে যান এই বাড়ির উপরতলার বারান্দায়। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। উল্লেখযোগ্য, এই বাড়ির যে সমস্ত জায়গায় নমুনা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সর্বত্রই ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা।
যে সমস্ত জায়গায় ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ রয়েছে, সে সব জায়গায় ইউভি ব্লু লাইট ফেলে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে যে সব ঘরে পোড়া রক্ত, পোড়া মাংস এবং শরীরের অংশ বিশেষ পড়েছিল সেখান থেকেও সিএফএসএলের সেরোলজি এক্সপার্টরা নমুনা সংগ্রহ করেন।
একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই-
১. নৃশংস এই ঘটনা ঘটার সময় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল?
২. ‘নাটের গুরু’ কি আনারুল? নাকি পিছনে আরও বড় মাথা?
৩. ঠিক কীভাবে এই ‘গণহত্যা’র ছক হয়েছিল?
৪. আগে কুপিয়ে, পরে আগুন লাগানো হল? নাকি তালাবন্দি ঘরে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ?
৫. বীরভূমের কেষ্ট-বিষ্টুদের কী ভূমিকা এই ঘটনায়?
৬. কারা এই ছক কষে? কার্যকরই বা কারা করে?
৭. খুনের মোটো কী? আর্থিক কোনও বিষয়? বালি খাদান, টোল আদায় নাকি তোলাবাজি?
৮. বদলা নাকি প্রতিহিংসার রাজনীতি?