কবে গড়াবে দিঘার রথের চাকা? তা নিয়ে নানা জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে সমস্ত জল্পনার অবসান করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। শুক্রবার X হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, চলতি বছর দিঘায় গড়াচ্ছে না রথের চাকা। তবে পরের বছর থেকে রথযাত্রা দিঘাতেও হবে।
দিঘায় জগন্নাথদেবের মন্দির নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা কবে, ধোঁয়াশা রয়েছে তা নিয়েও। তার মধ্যেই এ বছর থেকে দিঘায় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা আয়োজিত হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। প্রশাসনিক সূত্রেও জানা গিয়েছিল, জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি রথের কাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে রথ-সড়ক তৈরির কাজ চলছিল। প্রশাসনিক সেই প্রস্তুতি দেখেই অনেকের মনে হয়েছিল, এ বছর থেকেই দিঘায় রথযাত্রা শুরু হয়ে যেতে পারে। কিন্তু শুক্রবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা লিখলেন, ‘‘দিঘায় রথযাত্রা পরের বছর থেকে পালিত হবে। কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। পরের বছর থেকে রথযাত্রা শুরুর আগেই তা সম্পূর্ণ হওয়া জরুরি।’’
Happy to announce that, as in Puri, we in West Bengal are also erecting a pride- inspiring temple complex for Lord Jagannath at Digha. The Lord, Balabhadra and Subhadra will be worshipped here too, Rathayatra also will be celebrated.
Despite some discussions otherwise, fact is… pic.twitter.com/0Gou9DwGYC
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 5, 2024
বৃহস্পতিবার নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির চত্বরে তিনটি রথের কাঠামো দেখা গিয়েছিল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর ছিল, ওড়িশা থেকে দক্ষ কারিগর এনে রথগুলি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটির উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। একটিতে গাঢ় সবুজ, একটিতে কমলা আর অন্যটিতে হলুদ রঙের প্রলেপ দেওয়া। রথের মাথায় চূড়াও বসানো হয়েছিল। সূত্রের দাবি ছিল, পুরীর রথের আদলে তৈরি দিঘার রথের চূড়াগুলিকে শেষ মুহূর্তে রঙিন কাপড় দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই উচ্চতা হবে দিঘার এই মন্দিরটিরও। পাশাপাশি মন্দিরের পারিপার্শ্বিক নকশাও কিছুটা একই থাকছে। মহাপ্রভুর ভোগ বিতরণের জন্য পুরীতে নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। দিঘার মন্দিরেও তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা সামনে আসতেই পুরীর বিগ্রহের ছবি রাজস্থানের শিল্পীদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই বংশী পাহাড়পুরের শিল্পীরা সেই প্রস্তর মূর্তি তৈরির কাজে লেগে পড়েন। বিগ্রহ সম্পূর্ণ হয়ে রাজ্যে পৌঁছনোর পর থেকেই তা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে। দিঘার মন্দির সম্পূর্ণ হলে নির্দিষ্ট সময় মহাপ্রভুর প্রতিষ্ঠা হবে।