রেশন দুর্নীতির তদন্ত নেমে বিস্ফোরক তথ্য এল ইডির হাতে। বিনা সুদে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল বাকিবুর রহমান। এর কোনও প্রমাণ পত্রেও নেয়নি বাকিবুর। ফলে বাকিবুরের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র যোগাযোগের বিষয়টি আরও শক্তপোক্ত হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
শনিবার রেশন মামলায় ধৃত বাকিবুরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানেই ইডি বিনা সুদে এই বিপুল ঋণের কথা জানায়। বাকিবুরকে আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি পেয়েছে ইডি। বিচারককে তারা জানিয়েছে, ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে আরও তথ্য জোগাড় করার জন্য বাকিবুরকে জেলের ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
বাকিবুর মোট নয় কোটি টাকা মন্ত্রীর স্ত্রী, কন্যাকে ঋণ হিসাবে দিয়েছেন। তার জন্য সুদ নেওয়া হয়নি। এমনকি, সেই ঋণের জন্য বন্ধক হিসাবেও কিছু ছিল না। কী ভাবে এত টাকা সুদ ছাড়া ধার দেওয়া হল, সে বিষয়ে বিশদে জানতে বাকিবুরকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, ওই ঋণদান দুর্নীতিরই একটি অংশ। রেশনের যে গম বা আটা সাধারণ মানুষের পাওয়া উচিত ছিল তা তাদের কাছে যায়নি। সেই সামগ্রী কালোবাজারি করা হতো। ওই সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্যই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে টাকা দেওয়া হতো।
গত ৬ নভেম্বর যখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আদালতে পেশ করা হয় সেইদিন আদালতে রিমান্ড লেটারে ইডি বলে, রেশবন্টন দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে কীভাবে ধান কেনার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে এনে ধানের সহায়ক মূল্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিন ধান কেনার দুর্নীতিও তুলে ধরা হয়। ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজসেই তা করা হতো বলে দাবি করে ইডি। এনিয়ে ভবানীপুর থানায় মামলাও হয়েছে।