‘নিরলস সাহিত্য সাধনা’র জন্য পঁচিশে বৈশাখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলা আকাদেমির বিশেষ সম্মান। তার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন লোকসংস্কৃতি গবেষিকা ও সাহিত্যিক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় (Ratna Rashid Banerjee)। তিনি ২০১৯ সালে বাংলা আকাদেমি থেকে পাওয়া ‘অন্নদাশঙ্কর রায় সম্মান’ ফিরিয়ে দিলেন।
বাংলা আকাদেমির সভাপতিকে চিঠি লিখে সেই কথা জানিয়েছেন বর্ধমানের রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় চিঠির পরতে পরতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এই সম্মান দেওয়ার বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি শুধুমাত্র একটি ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে তাই নয়, এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের সত্যিকারের নিরলস চর্চায় রত সমস্ত মানুষকে অপমানিত করেছে।’
মঙ্গলবার রত্না জানিয়েছেন, যে ভাবে বাংলা আকাদেমি এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার। তিনি বলেন, ‘‘উনি এক জন মান্যগণ্য মানুষ। উনি আমাদের সবার ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ওঁর কাছ থেকে পরিপক্ব সিদ্ধান্ত আশা করি। বইয়ের তো একটা স্ট্যান্ডার্ড (মান) থাকতে হবে। পুরস্কার দিলেই উনি নিয়ে নেবেন কেন!’’
আরও পড়ুন: Baharampur Murder: মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিল সুতপাকে, পুলিশি জেরায় দাবি সুশান্তর
পাশাপাশি, একই কারণে সাহিত্য অকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লেখক এবং সম্পাদক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। বিবৃতি প্রকাশ করে অনাদি জানিয়েছেন, কলকাতায় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর দিন কবিতাকে যে ভাবে অসম্মান করা হয়েছে, তাতে তিনি ‘বিরক্ত’। সেই কারণেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।
অনাদি জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে বাংলা কবিতাকেই অসম্মান করেছে কলকাতা। তিনি বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথকে বুকের মাঝে রেখেছি। তাঁর কবিতা আমার কাছে দুর্মূল্য। সেই কবির জন্মদিনে যদি এমন পুরস্কার দেওয়া হয় কবিতার নাম করে, তা হলে তা সামগ্রিক ভাবে কবিতাকেই অসম্মান করে। তারই প্রতিবাদে আমি সাহিত্য অকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: Madan Mitra: উত্তাল সমুদ্র দেখতে গিয়ে দিঘার পাড়ে আছাড় খেলেন মদন!