সন্দেশখালির পরিস্থিতি উত্তপ্ত। যে দুই নেতার গ্রেফতারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন এলাকার মানুষ, তাদের মধ্যে একজন শেখ শাহজাহানের অনুগামী উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন উত্তম। পাশাপাশি, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পদেও ছিলেন তিনি। উত্তম সর্দারকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানালেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। শনিবার রেড রোডের ধর্না মঞ্চে এই খবর জানান তিনি। তবে শেখ শাহজাহান বা তাঁর আরেক অনুগামী শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি দল।
শনিবার ধর্না মঞ্চ থেকে উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানান পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। কারণ হিসাবে পার্থ জানান, উত্তমের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিষেক তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে চাষের জমি ও খাল দখল করে একের পর এক ভেড়ি তৈরি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা এবং সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি উত্তম সর্দার। শুক্রবার দুপুরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। জেলিয়াখালি এলাকায় শিবু হাজরার আরও তিনটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় শিবু হাজরার বসতবাড়িতেও।
তৃণমূলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মানুষের ভুরি ভুরি অভিযোগ। তাই নিয়ে গত কয়েকদিন রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা তল্লাট। এই জনরোষের পরেই সত্য জানতে একটি কমিটি গড়ে তৃণমূল। কমিটিতে ছিলেন ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, নারায়ণ গোস্বামী ও রথীন ঘোষ। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ তাঁরা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেন। তারপরেই সাসপেন্ড করা হয় উত্তম সর্দারকে।