শুক্রবার সকালে উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃ়ণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে বেধড়ক মারধর খেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তাঁদের কারও মাথা ফেটেছে, কারও গুরুতর চোট লেগেছে। সেই সঙ্গে তাঁদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে এবার কড়া পর্যবেক্ষণ জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন এজলাসে বসেই বিচারপতি সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘তদন্তকারীরা যেভাবে মারধর খেয়েছেন তাঁদের যেরকম ভাবে মারা হয়েছে, তাতে পরিষ্কার যে পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমি বুঝে পাচ্ছি না, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কেন তা ঘোষণা করছেন না?’
তার পরে পরেই মুখ খুলে রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের মানুষদের নিয়ে বাহুবলী শক্তিকে খেলা করতে দেবেন না বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। সরকারের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রীতিমতো ‘ফল ভুগতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন তিনি। গোটা ঘটনাটিকে উদ্বেগজনক বলে আখ্যা দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “সরকারের উচিত গণতন্ত্রে এই ধরনের বর্বরতাকে রোখা। কিন্তু সরকার যদি তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তবে দেশের সংবিধান উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।” সংবিধানের অবমাননা করা হলে রাজ্যপাল হিসাবে তিনি উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন বলেও জানান বোস।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সহ-অধিকর্তা রাজকুমার রাম এবং আক্রান্ত বাকি দুই ইডি আধিকারিক অঙ্কুর এবং সোমনাথ দত্ত বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আহতদের দেখে বেরিয়ে তিনি বলেন, ”সংবাদমাধ্যমের উপর কোনও রকম আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না। সমাজের কোনও অন্যয় মেনে নেওয়া হবে না। রাজ্যপাল হিসাবে আমার চোখ খোলা রয়েছে।”