Speaker Biman Banerjee suspends five BJP MLAs over assembly mess

বগটুই-কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি মারপিট বিধানসভায়, সাসপেন্ড শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ক

রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই কাণ্ডের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিধানসভায়। সোমবার দিনের শুরুতেই বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভার অন্দর।

সোমবারই বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। এদিন অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। তাঁর অভিযোগ, ”আপনারা গত কয়েকদিন ধরে অধিবেশনের কাজ চালাতে সমস্যা তৈরি করেছেন। স্লোগান দিয়েছেন, চিৎকার করেছেন, ওয়াক আউট করেছেন।পুলিশ বাজেটেও আপনারা উপস্থিত থাকেননি।” অধ্যক্ষের এই বক্তব্যের পর ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে বেড়ে যায় বিক্ষোভের পারদ। সেই সময় ওয়েলে যুয়ুধান দুই শিবির। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি ও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে।  পরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা।

আরও পড়ুন:  পাঁচ দিনে চতুর্থবার দাম বাড়ল তেলের, সেঞ্চুরির পথে ডিজেলও

বগটুই কাণ্ডে সিট গঠন ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি বিধায়করা বাইরে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও পরিষদীয় দলনেতা মনজ টিগ্গাকে সামনের সারিতে দেখা যায়।

এরপরই তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। মাটিতে ফেলে মারধর চলে বলে অভিয়োগ। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যায়। তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে যায়। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাত. দীপক বর্মন ও শংকর ঘোষ- পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনে তৃণমূল। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে স্পিকার ৫ বিধায়ককে আগামী বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত সাসপেন্ড করেন।

সূত্রের খবর, চলতি বছর আগামী অধিবেশনগুলিতেও সাসপেন্ড থাকতে পারেন শুভেন্দু-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনে যে সব সম্প্রদায়ের ভোট তৃণমূল পায়নি তাদের প্রতিনিধিদের বেছে বেছে সাসপেন্ড করেছে। ব্রাহ্মণ, ওবিসি, কুড়মি, আদিবাসী ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিধায়কদের বেছে বেছে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বিধানসভা কেবল স্পিকারের ক্ষমতাবলেই চলে না, এখানে রাজ্যপালের একটি ভূমিকা রয়েছে। আর আমাদের সাসপেন্ড করে রাখা হলে আমরা অধিবেশন কক্ষের বাইরে অধিবেশন বসিয়ে মক পার্লামেন্ট করে প্রতিবাদ জানাব।’’

আরও পড়ুন: প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, জনগণের অভিযোগ শুনতে ‘দিদিকে বলো-২’ আনছেন মমতা