প্রায় সাড়ে ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ – তল্লাশির পর রবিবার রাতে গ্রেফতার হন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। রবিবার রাত দুটো বাইশ মিনিটে এসপি, ডিএসপি সহ প্রতিনিধি দল জীবন কৃষ্ণ সাহার বাড়িতে আসে। বেশ কিছু নথি তারা খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে। তিন ঘন্টা পরে অর্থাৎ পাঁচটা কুড়ি নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিবিআই শীর্ষ কর্তারা। সোমবার আদালতে তোলা হলে জামিনের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু খারিজ হয়ে যায় সেই আবেদন। ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট হিসাবে পরিচিত কৌশিক ঘোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, এই অভিযোগে শুক্রবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ওইদিন দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে জীবনকৃষ্ণকে টানা জেরা করে যান চার সিবিআই (CBI) আধিকারিক। সূত্রের দাবি ছিল, কৌশিককে জেরা করেই বড়ঞার বিধায়কের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তারপরেই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে জেরা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: Naushad Siddiqui: কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ধাক্কা কন্টেনারের পিছনে, দুর্ঘটনার মুখে নওশাদ সিদ্দিকি
বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চলাকালীনই নিজের দু’টি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। শুক্রবার সন্ধেবেলা বাড়ির পিছনদিকে থাকা পুকুরে ফোন দুটি ফেলে দেওয়া হয়। পুকুর ছেঁচে সেই মোবাইল উদ্ধারের কাজ শুরু করে সিবিআই। শনিবার বিকেলে বিধায়কের বাড়ির কাছে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় ৫টি ব্যাগভর্তি নথি। যেগুলি নিয়োগ সংক্রান্ত নথি বলে সিবিআই দাবি করেছে। এরপর রবিবার সকালে সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর, উদ্ধার হয় বিধায়কের একটি মোবাইল। প্রায় দেড়দিন কেটে যাওয়ার পরে উদ্ধার হয় একটি মোবাইল। দ্বিতীয় মোবাইলটি এখনও উদ্ধার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে এখনও বড়ঞাতেই রয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। যদিও তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন বলেই দাবি জীবনকৃষ্ণের পরিবারের। অবশেষে সোমবার ভোর সওয়া পাঁচটা নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে কলকাতায় নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওয়ানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Covid in West Bengal: করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য, বাধ্যতামূলক হতে পারে মাস্ক ব্যবহার